বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক ইতিহাস পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী দাবি করেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে লুটপাট ও অপশাসন শুরু হয়েছে, যা জনগণের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিএনপি নেতা আরও যোগ করেন, বর্তমান সরকার বিদেশি এজেন্টদের সহায়তায় দেশ পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে নিজের অনুকূলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ছাত্ররা প্রকৃত ইতিহাস জেনে সেদিন রাস্তায় নেমে এসেছিল। রিজভী দাবি করেন, স্বৈরাচারী শাসন কখনই টিকে থাকতে পারে না এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক নীতিরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কিছু পণ্যের দাম কমলেও চাল, ডাল ও মুরগির দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকারের উচিত নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। রিজভী তার বক্তব্যে আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি সবসময় গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনের শেষে রিজভী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এদিকে, বিএনপির এই সংবাদ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বাড়তে পারে। বিএনপি তাদের সমালোচনা অব্যাহত রাখবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।