চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার: ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার: ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগ


বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২৫ নভেম্বর, সোমবার বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে হেফাজতে নেয় এবং পরে গ্রেপ্তার দেখায়।


ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং বলে, "শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার এবং জামিন না দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে বৈধ দাবি দাওয়া পেশ করছেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা অযৌক্তিক।" মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর উগ্রবাদী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রেপ্তার ঘটেছে, যেখানে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মন্দিরে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।


এছাড়া, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে শ্রী দাসের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হলে, তাদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।


অন্যদিকে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশের সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের এক সমাবেশে যোগ দেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে। একই অভিযোগে ৩০ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের হয়। কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা এই মামলায় শ্রী দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়। এর পরপরই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, তারা হলেন রাজেশ চৌধুরী এবং হৃদয় দাস।


চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চলমান হামলার প্রেক্ষিতে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান করবে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ অধিকারকে সমর্থন করবে।


এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সরকার এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।