সেই দৃশ্যপটের দিকে এখনও চোখ মেলে তাকাতে পারি না। কী বীভৎস! কী নির্মম বিভীষিকাময় সেই সব চিত্রাবলী! রক্ত আর মানবদেহের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খণ্ড খণ্ড টুকরো রাস্তাজুড়ে, আর্তনাদের দৃশ্যাবলীর পাশাপাশি পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা প্রদান, সরকারী হাসপাতালের গেট বন্ধ কিংবা চিকিৎসা প্রদানে অপারগ চিকিৎসক, সেবা প্রদানে অনাগ্রহী সেবক, এমন অমানবিকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল ১৯ বছর আগে রাজধানী ঢাকায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী আর জনসভায় আগত শ্রোতাদের।
বর্বরতার নিকৃষ্ট উদাহরণ সেদিন তৈরি হয়েছিল। প্রাণ হরণের খেলায় মেতেছিল সরকার তথা রাষ্ট্র। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো হয়েছিল গণহত্যা। খুবই সুপরিকল্পিতভাবে এক সংগঠিত শক্তি সংঘটন করেছে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ। সভ্যতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে বর্বরতার আশ্রয় নেয়া শক্তি ক্ষমতার দণ্ডমণ্ড সেজে যে ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি করেছিল, তাতে লক্ষ্যবস্তু নিশ্চিহ্ন করা না গেলেও, গণহত্যার শিকার হয়েছে আরও অনেক মানব। এই পাশবিকতা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। অমানবিক আচরণের উল্লম্ফন সেদিন দেখেছে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী। সভ্যতাকে ছিন্নভিন্ন করে অসভ্যতার বিস্তার ঘটানো হয়েছিল সরকারী উদ্যোগেই। অগণতান্ত্রিকতার উজ্জ্বল উদাহরণ বুঝি এই গণহত্যা। যা ১৯৮৮ সালের ২৪ শে জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে সংঘটিত গণহত্যাকেও হার মানিয়েছিল।
শেখ হাসিনাকে হত্যার সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল ২৪ জন সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক কর্মীকে। সামরিক জান্তা শাসক সরকারী বাহিনীকে ব্যবহার করেছিল। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ট্রাকযোগে লালদীঘি ময়দানে যাচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল দলীয় উদ্যোগে। তার গাড়িবহর লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। সেদিন আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে এসে শেখ হাসিনাকে ‘কর্ডন’ করে রেখেছিলেন। এরপর হাসিনা আদালত ভবনে আইনজীবীদের উদ্দেশে ভাষণও প্রদান করেন। এরশাদ সেদিন ব্যর্থ হয়েছিলেন। তার পোষ্য বাহিনী পাকিস্তান ফেরত সেনা কর্মকর্তা, যিনি জান্তা শাসনকালে পুলিশে যোগ দিয়ে পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার হয়েছিলেন। তারই নির্দেশে সংঘটিত হয়েছিল গণহত্যা যার বিচার এখনও ঝুলন্ত। সভ্যতা সেদিনও ধুলায় লুণ্ঠিত হয়েছিল।
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বাঙালির ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক এবং মর্মান্তিক অধ্যায়ের আরেক নাম। বর্বর শাসক দল প্রশাসন এবং জঙ্গীদের সম্মিলনে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য যে পথ বেছে নিয়েছিল তা মানব সভ্যতাকে বিদ্রূপ করারই নামান্তর। সভ্যতা মূলত মানব জীবনের আধার। মানবতা বলতে যা বোঝায়, তারও আধার। মানুষ জানে, সভ্যতার অগ্রগতির সামগ্রিক অর্থ মানুষেরই অগ্রগতি। সভ্যতার অগ্রগতির অর্থ দাঁড়ায় পারিপার্শ্বিকতার অগ্রগতি বা নিরন্তর বদল। যদিও তাতে মানব সমাজের অগ্রগতি হয় না। কোনো ক্ষেত্রে অগ্রগতি কিছু মানুষের হয়, কোনো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শ্রেণীর। মানবতা জান্তা শাসক ও তার উত্তরসূরির হাতে বারবার লাঞ্ছিত হয়েছে। আইভী রহমানের পাবিহীন রক্তাক্ত সেই ছবিটির দিকে আজও তাকাতে পারি না। মাতৃসম মহীয়সী নারী ছিলেন তিনি। পুত্রবৎ স্নেহ করতেন। ১৯৮০ সালে ডাকসু নির্বাচনে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে ছাত্রলীগের কাদের-চুন্নু পরিষদ থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বাসায় ডেকে নিয়ে নিজ হাতে রান্না করা খাবার খাইয়েছিলেন। স্বামী জিল্লুর রহমানের স্নেহ ও আশীর্বাদের হাত বিগলিত করেছিল বৈকি। ১৯৮৪ সালে আওয়ামী লীগের ১৫ আগস্টের সঙ্কলন সম্পাদনা পরিষদের সদস্য হিসেবে জিল্লুর রহমান ও আইভী রহমানের সঙ্গে কাজ করার সুবাদে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। তারা তখন থাকতেন মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে আর আমি পৈত্রিক নিবাস বাবর রোডে। তাদের বাসার সামনে দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হতো। কত কাছের মানুষ ছিলেন দু’জন।
পঁচাত্তর পরবর্তী ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ‘সংস্কৃতিসভা’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিলাম আইভী রহমানের পরামর্শে। এই সংগঠনে তাঁর কন্যারাও ছিলেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে ও রিহার্সেলে তানিয়া ও তনিমারা গাইতেন। নেত্রী সাজেদা চৌধুরী, নেতা মালেক উকিলের কন্যারাও এই সংগঠনে সক্রিয় ছিলেন। টিএসসিতে রিহার্সেল হতো। মাঝেমধ্যে জিল্লুর রহমান ও আইভী রহমান একসঙ্গে কিংবা পৃথকভাবে রিহার্সেল দেখতে আসতেন। নানা পরামর্শ দিতেন। সুন্দরের পূজারি এই নেতা-নেত্রীরা কর্মীদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত মানবিক এবং উদার। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াতেন। সংসার, রাজনীতি ও সমাজকর্ম সব কিছুই সুচারুভাবে পালন করতেন বেগম আইভী রহমান। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দানবিক, পাশবিক, অমানবিক আক্রমণের শিকার হলেন মহীয়সী নারী আইভী রহমান। হাসপাতালে তিনদিন কষ্টকঠিন অবস্থায় কাটিয়ে তিনি চলে গেলেন অনন্ত লোকে। কী অদ্ভুত! খালেদা জিয়া ২৩ আগস্ট বিকেলে সিএমএইচে দেখতে গিয়েছিলেন আইভী রহমানকে। তিনি বোধ হয় দেখতে এসেছিলেন, বীভৎসতার স্বরূপ! সর্প হয়ে দংশন করলেও ওঝা হয়ে ঝাড়তে আসেননি। নিজের কৃতকর্মের ফল তিনি দেখেছিলেন সানগ্লাসের আড়াল থেকে। এই বেগম জিয়াই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘গ্রেনেড হামলা আওয়ামী লীগ নিজেরাই ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।’
কী নির্মম ভাষ্য তাঁর! মিথ্যাচারে পূর্ণ এসব ঘৃণ্য ভাষ্য মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছিল। শেখ হাসিনা গ্রেনেড মারার প্রশিক্ষণ কবে নিয়েছিলেন- দেশবাসীর তা জানা নেই। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যে গ্রেনেড এবং সেনাবাহিনী যা ব্যবহার করে, সেই গ্রেনেড ব্যবহৃত হয়েছিল আওয়ামী লীগের জনসভায়। বিস্ফোরণের পর সভাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। বরং লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় উদ্ধারে আসা মানুষজনকে। জনসভা চলাকালে মঞ্চের পেছনে থাকা সাংবাদিকদের মধ্যে আমিও ছিলাম। ‘পূর্ণিমা’ নামক খাবার দোকানে জিলেপি খাওয়ার জন্য শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান আকন্দ আমন্ত্রণ জানালে, তার সঙ্গে গিয়েছিলাম বলে হামলার শিকার হইনি। আহতদের উদ্ধারে যখন দু’জন এগিয়ে যাই, পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হই পিঠে। এরপরই টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় চোখ জলতে থাকে। রুমাল ভিজিয়ে চোখ রক্ষার চেষ্টাও একসময় ব্যর্থ হয়। আহতদের আর্তনাদে এবং পুলিশী হামলার শিকারদের চিৎকারে রমনা এভিনিউর আকাশ-বাতাস তখন ভারি। তারই আগে শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি হতচকিত করেছিল আমাদেরও। সেসব ঘটনা ভাবতে গেলে মানসিক চাপের মুখোমুখি হতে হয় আজও। কেন সেদিন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল সরকারের মন্ত্রী, প্রশাসনের উদ্যোগে?
খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারেই সেসব ঘটেছিল, তা স্পষ্ট হয় এই ঘটনার কয়েকদিন আগে প্রকাশ্য এক জনসভায় প্রদত্ত তার ভাষণে। তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, কোনো দিন বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবে না। এই বক্তব্যের বহিঃপ্রকাশই দেখা গেল ২১ আগস্ট। অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারলেই আর কোনো দিন বিরোধীদলীয় নেত্রী হতে পারবে না।
জাতির পিতা শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করা হলেও তার দুই কন্যা প্রবাসে থাকায় বেঁচে যান। ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা শাসক জিয়া তাদের দেশে ফিরতে দেননি। দেশী-বিদেশী চাপে ১৫ আগস্টের পাঁচ বছর পর শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসতে দিতে বাধ্য হয় জিয়া। শেখ হাসিনা ততদিনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়েছেন। দেশে ফেরার পরও তাকে পৈত্রিক বাড়ি ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। পিতার কবরেও যেতে দেয়া হয়নি। শেখ হাসিনার এই বেঁচে থাকা জিয়ার কাছে ছিল সহ্যাতীত। জিয়ার হাত ছিল সর্বার্থে রক্তমাখা। কত প্রাণ যে হরণ করেছে ক্ষমতা দখলে রাখা অবস্থায়, তার হিসেব করা হয়নি আজও। দেশে ফেরার পর তাকে আরও ২০ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার বেঁচে থাকাটাও খালেদা-তারেকের কাছে সহ্যাতীত আজও। তাই লন্ডনে যাওয়ার আগে বেগম জিয়া ইফতার পার্টিতে বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে। এমনকি আওয়ামী লীগের পদও ছাড়তে হবে। আর ২০০৬ সালে তারেক বগুড়ার জনসভায় হাত নাড়িয়ে বলেছিলেন, তাদের কচুকাটা করতে হবে ধান কাটার কাস্তে দিয়ে। ইউটিউবে এই ভাষণ এখনও দেখা যায়।
একুশে আগস্টের নৃশংস ঘটনার সঙ্গে তারেক ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত জোটের মন্ত্রী, এমপি, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও জড়িত ছিল বলে শুনানিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রীর বাড়িতে বসে পরিকল্পনা হয়েছিল হামলার। সেনাব্যবহৃত গ্রেনেডও তারাই যোগাড় করেছিল। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ এখনও শেষ হয়নি। দেশবাসী অপেক্ষায় সেই রায়ের। আইভী রহমানসহ নিহত চব্বিশজনের আত্মা আজও কেঁদে বেড়ায়। আর ক্ষোভে ফেটে পড়েন খালেদা গং কেন হাসিনা বেঁচে আছে। এই হত্যাকাণ্ডের দায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ওপরও বর্তায়। ঘটনার পূর্বাপর তার বক্তব্য ও আচরণ প্রমাণ করে এই হত্যা ছিল তার আকাঙ্খিত। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদাকে কেন এই মামলার আসামি করা হলো জানেন না তদন্ত কর্মকর্তারা ও আদালত। পাকিস্তানে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকে হত্যার নির্দেশের অভিযোগে কুখ্যাত ভুট্টোর ফাঁসি হয়েছিল। অথচ দুর্বল তদন্তের কারণে খালেদা জিয়া পার পেয়ে যাবেন- ভাবা যায় না।
ফিলিপিন্সের স্বৈরাচারী শাসক মার্কোস বিরোধী দলের নেতা আকিনোকে দেশে প্রত্যাবর্তনের সময় বিমানবন্দরের সিঁড়িতেই ঘাতক দিয়ে হত্যা করিয়েছিলেন। সারা দেশের মানুষ গর্জে উঠেছিল, নির্বাচনে আকিনোর বিধবা স্ত্রীর কাছে হেরে গিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। খালেদা জিয়া দেশবাসীকে বোকা ভাবেন বলেই আসল ঘটনা আড়াল করে জনগণকে বোঝাতে চেয়েছেন, আওয়ামী লীগাররাই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। শেখ হাসিনা নিজেই এই হামলার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ম্যাডাম উপলব্ধি করতে পারছেন না- ছাইচাপা থাকে না। তার পুত্র ও দলীয় নেতাকর্মীরা যে এতে জড়িত এবং তারা যে কার নির্দেশে কাজ করেছেন, ঘটনার ১৯ বছর পর জনগণ তাই জানেন। সেদিনের হামলায় সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন অনেকে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজও শরীরে স্পিন্টার বহন করে চলেছেন।
২১ শে আগস্টের হামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছিল। পলাতক মন্ত্রী ভ্রাতা তাইজউদ্দিনকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনার তোড়জোড় চলছে। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের লালনকারী বেগম জিয়া ২১ শে আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ ভুণ্ডল করতে পাল্টা সন্ত্রাস চালিয়েছিলেন সেদিন। শেখ হাসিনা এখন ‘এক্সটেনশন’ জীবন কাটাচ্ছেন। মৃত্যুভয় তাকে ভীত করে না। বেগম জিয়া ও তার দলের মধ্যে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে বলেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ ঝুঁকে পড়ে যেসব ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাতে সাফল্য তেমনভাবে ধরা দেয়নি। আদিম হিংস্র মানবতার ধারক হয়ে খালেদা জিয়া যা করেছেন, দেশবাসী আগামী নির্বাচনে আবার তার উপযুক্ত জবাব দেবে।
লেখক: জাফর ওয়াজেদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও মহাপরিচালক প্রেস ইনস্টিটউট বাংলাদেশ (পিআইবি)
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।