মদনে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ, ওসি সহ আহত ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক
এ কে এম আব্দুল্লাহ, জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
প্রকাশিত: বুধবার ৩১শে আগস্ট ২০২২ ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
মদনে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ, ওসি সহ আহত ২০

নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার চাঁনগাও ইউনিয়নের শাহ্পুর ঈদগাহ্ মাঠে বুধবার দুপুরে বিএনপি আওয়ামীলীগের সংঘর্ষে ওসি তিন পুলিশ সদস্যসহ বিএনপি আওয়ামীলীগের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। 


     স্থানীয় এলাকাবাসী, বিএনপি আওয়ামীলীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তেল গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চাঁনগাও ইউনিয়ন বিএনপি বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় শাহ্পুর ঈদগাহ্ মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। অপরদিকে চাঁনগাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগও একই সময়ে একই স্থানে সমাবেশ ডাকে।   এ নিয়ে বুধবার দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম সহ তিন পুলিশ সদস্য এবং বিএনপি আওয়ামীলীগের ১৭ নেতাকর্মী আহত হন। 


    মদন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চাঁনগাও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এন আলম জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা শাহ্পুর ঈদগাহ্ মাঠে শান্তিপূর্ন কর্মসূচী পালন কালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। আওয়ামীলীগের হামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। আহত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

 

    এ ব্যাপারে মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান এখলাছের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের উপর উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে তাদের ওপরও ইট ছুড়া হয়। এতে আমাদের ৭ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  


    মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মদনের চাঁনগাওয়ের শাহ্পুরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলো। অন্যদিকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করে। এ সময় দু পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আমি সহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। অপরদিকে  আওয়ামীলীগ ও বিএনপির ১৫/১৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।