এবার সংলাপে বসবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৪শে মে ২০২২ ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
এবার সংলাপে বসবে বিএনপি

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়নে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার এই আলোচনা আমরা শুরু করব।


আমরা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব। তাদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের যে রূপরেখা, সেই রূপরেখা তৈরি করা হবে।

প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার বিকেলে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে সংলাপে বসবে বিএনপি। নাগরিক ঐক্যের তোপখানা রোডের কার্যালয়ে এই সংলাপ হবে বিকেল ৫টায়। আলোচনা কি ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে হবে না অন্যান্য দলের সঙ্গেও হবে- এ রকম প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সবার সঙ্গেই হবে। অল দ্য পলিটিক্যাল পার্টিসের সঙ্গে।


জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই, কথা তো বলতে হবে। তাদের সঙ্গে কথা না বললে কেমন করে হবে। সবার সঙ্গেই তো কথা বলতে হবে।


২০ দলীয় জোট থাকবে কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০ দলীয় জোট তো আমরা এখন পর্যন্ত বিলুপ্ত করিনি। এই জোটের কী হবে সেটা এই আলোচনার মধ্য দিয়ে ফাইনাল করব।


গত ২৩ মে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব তুলে ধরেন।


সংলাপের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এই আলোচনার মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং এই ফ্যাসিবাদী সরকার, যারা মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং আজকে অর্থনীতি, দেশের যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে, সেসব প্রতিষ্ঠান ফিরিয়ে নিয়ে আসা। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা- এটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। এ জন্য আন্দোলন তৈরি করতে হবে। এই আন্দোলন তৈরি করতে ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে এই আলোচনার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।


তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো হলো প্রথম. দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি, দুই. সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা পদত্যাগ করে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, তিন. সংসদ বাতিল করতে হবে এবং তারপর পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ গঠন হবে, সরকার গঠন হবে।


তিনি বলেন, এখন অন্যগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা করব এবং এই আলোচনার মধ্য দিয়ে তাদের অন্যান্য দাবি নিয়ে একক দাবিনামা তৈরি করা হবে। একক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করব।


এই একক ঐক্যের জোটের কী নামকরণ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একে জোট বলছি না। অন্য কোনো কিছু বলছি না। আলোচনা করার মধ্য দিয়ে ফরমেট, ফর্ম নির্ধারিত হবে।