করোনা ভাইরাসের কারণে এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে অলিম্পিক গেমস। কিন্তু আগামী বছর সেই ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে কিনা এমন প্রশ্ন তুললেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির শীর্ষ কর্তা জন কোটস।
করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। বিশ্বের বড় বড় ক্রীড়া আসরগুলো স্থগিত বা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং টোকিও অলিম্পিক কমিটির কর্তারা একটি জরুরি সভা করেন। সেই মিটিং শেষে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী বছর অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে খুব একটা আশার আলো দেখছেন তাঁরা।
আইওসি-র কর্তা জন কোটস জানিয়েছেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও অলিম্পিক করোনায় যথেষ্ট প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে । তাই যথাযথ করোনা ভ্যাকসিন তৈরি না হলে অলিম্পিক আয়োজন করা অনিশ্চিত।’ কোটসের সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মেনে অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা আর দর্শক সমাবেশ নিয়ে।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শ্রীধর পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, ‘যথাযথ করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের উপর নির্ভর করছে পরের বছর অলিম্পিক করা সম্ভব কিনা। যদিও বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন খুব শীঘ্রই করোনার প্রতিষেধক বাজারে চলে আসবে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আগামী এক বছর কিংবা দেড় বছরের আগে করোনার প্রতিষেধক পুরোপুরি কার্যকর হবে না।’
করোনা মহামারী থেকে এখনও মুক্ত নয় আয়োজক দেশ জাপান। সংক্রমণ ঠেকাতে সেই দেশে আগামী ছয়ই মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। টোকিও অলিম্পিক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো মোরি জানিয়েছেন, ‘চলতি বছর অলিম্পিক বাতিল হওয়ার পর করোনা মোকাবিলার জন্য তাদের নতুন একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে ।
আশা করি এই টাস্কফোর্স পরের বছর অলিম্পিক আয়োজনের পথ মসৃণ করবে।’ সব চেষ্টাই চলছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে আগে করোনার ভ্যাকসিন, তারপর অলিম্পিক।
