প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল কলকাতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:০১ পূর্বাহ্ন
প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল কলকাতা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রথম ম্যাচে হেরে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স।মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক দুর্দান্ত ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৪৯ রানে হেরে যায় বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের দল।আকাশছোঁয়া দরে কলকাতা শিবিরে আসা প্যাট কামিন্স ম্যাজিক দেখাতে পারলেন না। উল্টো ব্যাট হাতে কলকাতার বোলারদের শাসন করলেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা।তার বিস্ফোরক ৫৪ বলে ৮০ রানের সৌজন্যে ২০ ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স করে ৫ উইকেটে ১৯৫ রান।জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা করে ৯ উইকেটে ১৪৬ রান। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়েছিল মুম্বই। এ দিন কলকাতাকে ৪৯ হারিয়ে প্রথম জয় পেল রোহিতের দল। 

বুধবার আবু ধাবিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।একটা সময়ে মুম্বাই এত মসৃণভাবে এগোচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল চার বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা হয়তো ২২০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।কিন্তু মাভির বলে রোহিত আউট হওয়ার পর মুম্বাইয়ের রান তোলার গতি কমে যায়। কিন্তু ১৯৫ রানও কম নয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।আর এই রান তাড়া করার সময় শুরু থেকে যে গতিতে রান তুলতে হয়, তা করতে পারেনি কলকাতা। 

কলকাতার ওপেনার শুবমান গিলকে (৭) শুরুতেই ফেরান বোল্ট।প্যাটিনসনকে মারতে গিয়ে আউট হন সুনীল নারিন (৯)।কার্তিক ও নীতীশ রাণা ইনিংস গোছানোর কাজ করছিলেন। রাহুল চহারের বলে এলবিডব্লিউ হন কার্তিক (৩০)।নীতীশ রানা ফেরেন ২৪ রানে।এক ওভারে লেগ কাটারে রাসেল (১১) ও অফ কাটারে মর্গানকে (১৬) আউট করে ম্যাচের রাশ রোহিতের হাতে তুলে দেন বুমরাহ।বল হাতে হতাশ করলেও ব্যাট করতে নেমে প্যাট কামিন্স ১২ বলে ৩৩ রান করেন। মারেন চারটি ছক্কা। তিনি মারমুখী ব্যাটিং করায় কেকেআর-এর রান কিছুটা মানসম্মত হয়।

মুম্বাইও শুরুটা ভাল করেনি। ওপেনিংয়ে রোহিতের সঙ্গী কুইন্টন ডি কক (১) শুরুটা ভাল করতে পারেননি।দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় মুম্বাই।কিন্তু রোহিত শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন। কলকাতার হয়ে প্রথম ওভার করতে আসা সন্দীপ ওয়ারিয়রে্র শেষ বলে ছক্কা হাঁকান রোহিত। কুইন্টন ডি কক ফেরার পরে আবু ধাবি দেখে সূর্যের ঝলকানি।তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব ও রোহিত শর্মা মুম্বাইয়ের ইনিংস গোছানোর কাজটা শুরু করেন।ওয়ারিয়রের দ্বিতীয় ওভারে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন সূর্যকুমার যাদব।তিনটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। 

অন্যদিকে রোহিত প্যাট কামিন্সকে পুল করে দু’ বার মাঠের বাইরে পাঠান।নির্দয় হয়ে ওঠেন সুনীল নারিন, কুলদীপ যাদবদের ওপরেও। ওভার যত গড়াতে থাকে রোহিত ও সূর্য ততই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন।কলকাতার বোলাররা সেই সময়ে কামড় বসাতে পারেননি।সেই সুযোগ নেন মুম্বাইয়ের রোহিত ও সূর্যকুমার।সূর্যকুমার রান আউট হন ৪৭ রানে। দু’ জনের ৯০ রানের পার্টনারশিপে মুম্বাইকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দেয়।সূর্যকুমার ফেরার পরে রোহিত স্বমহিমায় ধরা দেন।

কলকাতার বোলারদের ইচ্ছামতো মাঠের বাইরে ফেলেন।রোহিতের ইনিংসে সাজানো ছিল ছ’টি ছক্কা।আইপিএলে ২০০টা ছক্কা হাঁকানো হয়ে গেল হিটম্যানের।মুম্বাইয়ে মারকুটে ব্যাটসম্যানের আধিক্য।কিন্তু সৌরভ তিওয়ারি (২১),হার্ডিক পান্ডিয়া (১৮) দ্রুত গতিতে রান তুলতে না পারায় মুম্বাই ২০০ রানের গণ্ডি পার হতে পারেনি।কলকাতার বোলারদের মধ্যে মাভি নজর কাড়েন।চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩২ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট নেন তিনি।প্যাট কামিন্স বল হতাশ করেছেন।১৯৫ তাড়া করতে নেমেও উজ্জ্বল দেখাল না কলকাতাকে।