গত ১২ নভেম্বর বাসে আগুন ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় মদদদাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যেমন অপরাধী, আর এ নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে এবং দুষ্কৃতকারীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন তারাও অপরাধী।তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রোববার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ভার্চ্যুয়ালি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে রাঙ্গুনিয়ায় দরিদ্রদের মাঝে গরুর বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৩/১৪ সালে যেভাবে বাসে আগুন ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই করা হয়েছে। বিএনপি বলতে পারতো, কারা এ কাজটি করেছে তাদের খুঁজে বের করার পর সেটা যদি আমাদের দলীয় কেউ হয় তাদের বিরুদ্ধে তারা দলগতভাবে ব্যবস্থা নেবেন। তারা সে কথা না বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা বিষয়টি নিয়ে মিথ্যাচার ও অস্বীকার করেছেন। মিথ্যাচার ও অস্বীকার করে তাদের দলের মধ্যে যে সব দুষ্কৃতকারী আছে তাদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।আপনারা জানেন এর আগে ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি যুবদল, ছাত্রদলের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে বনানীতে বসে এ পরিকল্পনা হয়েছে, কোথা থেকে অর্থ এসেছে সেগুলোও তারা স্বীকার করেছে। ’
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন দেশে গণতন্ত্র নেই, আছে শুধু শেখ হাসিনার শাসনতন্ত্র- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, গয়েশ্বর বাবু সকালবেলা একবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন আবার বিকেলবেলাও করেন। দেশে গণতন্ত্র হরণ করেছিল বিএনপি। গণতন্ত্র হরণ করে বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে গণতন্ত্র ছিল? যখন বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বিরোধীদলের নেতা বানিয়ে তার গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখন গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছিল।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই প্রশ্নটি আইন মন্ত্রণালয়কে করলে ভালো হতো। কারণ আমরা এক বছরের বেশি সময় ধরে আইন মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি আশা করবো সহসা আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে আসবে।হাইকোর্ট বিদেশে টাকা পাচারকারী সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষেয় মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমতো হাইকোর্টের নির্দেশনাটি দুর্নীতিদমন, টাকা পাচারকারীদের দমনে সহায়ক হবে। এই রায়ের জন্য আমি হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানাই। এই রায়ের আগেই দুদক ও সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের এই রায় এ কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।