হাওরের বিস্ময় সড়কে লাখো মানুষ উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাওর এলাকায় কৃষির পাশাপাশি উৎপাদন বহুমুখী করতে মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামে অলওয়েদার সড়কের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকার গণভবন থেকে মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিলনায়তনে যুক্ত হন তিনি। অনুষ্ঠানে মিঠামইন প্রান্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতির আগ্রহে তৈরি হয়েছে ৩০ কিলোমিটারের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক। যাতে লাখো মানুষ উপকৃত হবে। সড়কটির ফলে হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা অনেকটা লাঘব হবে।দেশের কোনো অঞ্চলের মানুষ অনুন্নত থাকবে না জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো হবে। হাওর এলাকায় কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে চায় সরকার।প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, এটাই এখন সবচেয়ে বড় ক্ষতি; তারপরও ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখেছে সরকার।
অষ্টগ্রামের বিখ্যাত পনির বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প তৈরিতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।করোনা না আসলে আরো এগিয়ে যেত দেশ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষতি এড়াতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখেছে সরকার।সরকারের নানা পরিকল্পনার ফলেই একদিন দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হবে-এমন প্রত্যয় বঙ্গবন্ধু কন্যার। অনুষ্ঠানের শেষদিকে, সড়কটি নির্মানে রাষ্ট্রপতির ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ে উদ্বোধন করেন ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম ‘অলওয়েদার’ সড়ক।
কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা যেন সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সারা বছর চলাচল উপযোগী দৃষ্টিনন্দন অল ওয়েদার সড়ক। স্থানীয়ভাবে ‘আবুরা’ সড়ক নামে পরিচিত এটি। গত অর্থবছরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের মাঝ দিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অল ওয়েদার সড়কের মাধ্যমে পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। হাওরের এই বিস্ময় উপভোগ করতে প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সমাগম হচ্ছে। স্থানীয়দের কথায়, দৃষ্টিনন্দন রাস্তাটির সুবাদে জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ হাওরের সৌন্দর্য বেড়েছে।
