প্রবাসী আলহাজ্ব সামছুল হক পালোয়ান আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:০৪ অপরাহ্ন
প্রবাসী আলহাজ্ব সামছুল হক পালোয়ান আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা

বিদেশে অনেক কষ্টের  তার পরেও থেমে নাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সৌদি প্রবাসী আলহাজ্ব সামছুল হক পালোয়ান তার বেতনের এক অংশ টাকা মানুষের কল্যানে ব্যয় করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সে আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা ।প্রবাসী আলহাজ্ব সামছুল হক পালোয়ান  হলেন,গাজীপুরের কালিয়াকৈর  উপজেলার বড় গোবিন্দপুর গ্রামের ফালোপালোয়ানে ছেলে।সে অনেক দিনধরে সৌদি আরবে থাকেন তার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা কামায় করে এক অংশ টাকা কালিয়াকৈর মসজিদ, মন্দির ,মাদসায় স্কুল ,

কলেজ করতে দিয়ে  উন্নয়নের দ্বারা অব্যহত রেখেছেন।এ করোনা কালে ১৫শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে আবার গরীব ব্যক্তীদের টাকার অবাবে মেয়ে বিয়ে দিতে তার সহযোগিতা  রয়েছে ।তার পরিবারের অনেকের বিবাহ কিংবা মৃত্যুর সময় পাশে থাকতে পারেন না।সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে পারেন না।নবজাতক সন্তানকে দেখেন ২-৪ বছর পর। আরো বেশিদিন পর। মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা আত্মীয়স্বজনের মৃত্যুর পর মৃতদেহ দেখতে পারেন না শেষবারের মতো।

এটা যে কত কষ্ট একমাত্র  বলতে পারবেন প্রবাসী আলহাজ্ব সামছুল হক পালোয়ান।মাঝে মাঝে  তার কাছ থেকে  এসব কষ্টের কাহিনী শোনা যায়।কত ঈদ, কত সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলে যায় বছরের পর বছর কিন্তু পরিবারের সাথে থাকতে পারে না।অনেক কষ্টে জীবনযাপন করে তাদের পরিবার পরিজনের সুখের আশায়।তার সন্তান তাকে মিছ করে। সে আবার সন্তানকে মিস করে। । একমাত্র আর্থিক সচ্ছলতার আশায় সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করে। 

দৈনিক ১৪-১৫ ঘণ্টা কাজ করেন সুখের আশায়।কিন্তু দেশে থাকা তার পরিবারের সদস্যদেও ও এলাকাবাসী বুঝতে দেন না।প্রিয় মাতৃভূমি কিংবা নিজের পরিবার পরিজনের পাশে থাকতে পারেন না।প্রবাসী আলহাজ্ব সামছুল হক পালোয়ান কয়েক বছর পর পর নিজ দেশে নিজের পরিবার পরিজনের সাথে ছুটি কাটাতে আসেন। তার অনেক কষ্টে অর্জিত টাকায় তাদের পরিবারের সদস্যদের ও এলাকাবাসী মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করেন।এলাকার আরিফ মাস্টার জানান, প্রবাসী আলহাজ্ব সামছুল হক পালোয়ান আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা। তার আত্মত্যাগের ফলে আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এভাবে হয়তো আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা, আমাদের দেশের দুঃখ দূর করবে।  দুঃখের কথনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। সেই সোনালি দিনের প্রত্যাশায় রইলাম।