ঢাকা ১৮ সংসদীয় আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন নাজমা আক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২১শে আগস্ট ২০২০ ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
ঢাকা ১৮ সংসদীয় আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন নাজমা আক্তার

ঢাকা ১৮ সংসদীয় আসনের প্রয়াত সংসদ্য সদস্য এডঃ সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য আসনের উপ নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রিয় সভাপতি নাজমা আক্তার তাদের মত মধ্যে অন্যতম।যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রিয় সভাপতি নাজমা আক্তার আজ সকাল ১১ টায় আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির কার্যালয় থেকে যুব মহিলালীগের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।জানা যায় সে আগামী কাল দলীয় মনোনয়নের জন্য ফরম জমা দিবেন।

নাজমা আক্তার বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া থেকে ১৯৮১ সালের ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করার মাধ্যমে তার রাজনীতির জীবন শুরু। ধাপে ধাপে বিভিন্ন থানা জেলা এবং কলেজ কমিটির ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্যর থেকে ছাত্ররাজনীতি সমাপ্তি টানেন। তারপরে তাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যুব মহিলা লীগ গঠন করার দায়িত্ব দিয়ে সারাদেশে মহিলাদেরকে নেতৃত্বে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করে যুব মহিলা লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন। সে ২০০২ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে অদ্যবধি পর্যন্ত যুব মহিলা লীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করে সারাদেশ তৃনমূল পর্যায়ে ঘুরে ঘুরে যুব মহিলাদেরকে রাজনীতিতে সক্রিয় করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

নাজমা আক্তার ১৯৬৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়ার গাড়ফা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।সে ড. খাদেমুল ইসলাম কে বিয়ে করে ১৯৯১ সাল থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরায় বসবাস করেন। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

নাজমা আক্তার ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, টুঙ্গিপাড়া থানা শাখার ১৯৮১ও ৮২ সালে সাবেক ছাত্র কল্যাণ সম্পাদকের পদ দিয়ে তার রাজনীতির জীবন শুরু ১৯৮৩/৮৪ সালে পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সালে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ঢাকসু) এর রোকেয়া হল শাখার জিএস নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বপালন করেন।

সে নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত হয়ে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০১৪ মেয়াদকালে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।আন্দোলন-সংগ্রামে নাজমা আক্তার সব সময় প্রথম সারির সৈনিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। স্বৈরাচার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেওয়ার কারনে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

১৯৯১থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ও ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির শাষণ আমলে দেশ ও জাতির পক্ষে বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম সারিতে ছিল।তার জন্য জেলজুলুম,মামলা হামলার স্বীকারও তাকে হতে হয়েছে।১/১১ এর সময় শেখ হাসিনার কারামুক্তি জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামী হয়েও আন্দোলন থেকে ফিছিয়ে যায়নি।শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য কৌশলে ২ লাখেরও বেশী নারীদের সাক্ষর সংগ্রহের মাধ্যমে যুব মহিলালীগকে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় করে রেখেছিল।

সে ব্যক্তি উদ্যোগে, সরকারি ভাবে ও সাংগঠনিক ভাবে দেশে ও বিভিন্ন বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহন, ভ্রমন,সভা সেমিনার অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে অভিজ্ঞার ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছে।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসনটি শূন্য হয়।

সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ জুলাই রাতে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মারা যান ঢাকা-১৮ সহ আওয়ামী লীগের পাঁচ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন ফরম বিক্রির সোমবার ছিলো প্রথম দিন। ফরম সংগ্রহ ১৭ আগস্ট থেকে শুরু ও জমা নেয়া হচ্ছে, যা চলবে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত।