বরিশালের হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান মোঃ লোকমান হোসেন একজন সম্মুখ করোনা যোদ্ধা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন অনেকের কাছেই। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে সারা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।
অদৃশ্য প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির বিরুদ্ধে অনেক আগেই যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন বাংলাদেশ সরকার। আর এই অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন করোনা যোদ্ধারা। তারপরেও দেশের করোনা যোদ্ধারা তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন এই অদৃশ্য দানবের বিরুদ্ধে। সেই যোদ্ধাদের মাঝে হিজলা উপজেলার একজন সম্মুখ করোনা যোদ্ধা মোঃ লোকমান হোসেন। যিনি হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান পদে রয়েছেন। তিনিই দায়িত্বে রয়েছেন হিজলা উপজেলার করোনার নমুনা সংগ্রহ করার।
একদিকে চাকরি রক্ষা করা অপরদিকে অদৃশ্য প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করা। হিজলায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করার আলাদা কোন লোক নেই, তাই তিনিই এই দায়িত্বে রয়েছেন। অবশ্য তার পাশে থেকে মাঝে মাঝে সাহায্য করে থাকেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন অর রশিদ। হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২৫ জুন পর্যন্ত হিজলায় ১৫৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এই তারিখ পর্যন্ত হিজলায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১২ জন। নমুনা সংগ্রহ করে নির্ধারিত বক্সে করে নিজ দায়িত্বেই বরিশাল সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে হয় তাকেই। এটাও জানা গিয়েছে বক্স বহনকারী যানটির যান্ত্রিক ত্রুটি হলে অন্য কোনো যান ঐ বক্স বহন করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। আবার নমুনা সংগ্রহ করার শেষে এই যোদ্ধাকে অনেকটা তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে তার অফিসের অন্যান্য অফিস বন্ধুরা।
তবে হাসপাতাল পাড়ায় ঘুরে দেখা গেছে এই যোদ্ধা অফিস বন্ধুদের রুমে যাতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য তাদের রুমের সামনে বিক্ষিপ্ত ভাবে টেবিলে রাখা হচ্ছে। এই করোনা যোদ্ধাকে তাচ্ছিল্যের চোখে না দেখে তাকে উৎসাহ দেয়া উচিৎ। যে লোকটি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অদৃশ্য দানবের বিরুদ্ধে প্রতিদিন যুদ্ধ করে যাচ্ছেন, যিনি নমুনা সংগ্রহের কারণে আমরা অদৃশ্য এই ভাইরাস সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি, তাকে তাচ্ছিল্য করা আমাদের উচিৎ হবে না। এই সম্মুখ যোদ্ধাকে আসুন সম্মান করি এবং সাহস জোগাই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।