প্রবল আপত্তির মুখে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পর বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বহিস্কৃত)আব্দুল মাজেদের দাফন তাঁর গ্রামের বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের উত্তর বাটামারা গামে দাফন হয়নি। রাত থেকেই মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পর মাজেদের গ্রামের বাড়িতে লাশ আসছে শুনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভোলা সদরের ফেরিঘাট থেকে শুরু করে গ্রামের বাড়িতে ঢোকার রাস্তায় রাস্তায় অবস্থান নেয়।
শনিবার বোরহানউদ্দিন পৌর শহরে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের নেতৃত্বে সামাজিক দূরত্ব বজায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে সমাবেশে সাংসদ আলী আজম মুকুল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ক্যাপ্টেন(বহিস্কৃত)আব্দুল মাজেদের লাশ ভোলার মাটিয়ে না পাঠানোর দাবি জানান।
ওইদিন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সংবাদ সম্মেলন করে একই দাবি জানান। ওই সময় উভয় সাংসদ ভোলায় মাজেদের লাশ পাঠারো হলে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও তাঁদের নেতৃত্বে ভোলাবাসী ওই লাশ মেঘনা নদীতে নিক্ষেপ করবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। এছাড়া শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে ক্যাপ্টেন(বহিস্কৃত)আব্দুল মাজেদের লাশ ভোলার মাটিয়ে না পাঠানোর দাবি জানিয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিমউদ্দিন হায়দার, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আবেদেন পাঠানো পাঠান। এতে ভোলায় লাশ দাফনে জটিলতার সৃষ্টি হলে প্রশাসন ঝুঁকিতে যাননি।
ফলে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে মাজেদেও শ্বশুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নে দাফন করা হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।