ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের র্শীষ এক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে অস্ত্র দেখিয়ে পিতৃহারা এক তরুণীকে (১৮) জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়া হয়েছে ওই তরুণীর মাকে। ফলে আতঙ্কে বাসায় তালা দিয়ে তিনি অন্যত্র অবস্থান করছেন।
তরুণীর বড় মামা হাজী নাজমুল ইসলাম দারু জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডাস্থ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকার এক বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারে ছেলে মাহী সরকার।
এই নিকট আত্মীয় ছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, অস্ত্র দেখিয়ে ফিল্মিস্টাইলে ওই তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মাহীর সঙ্গে তার আরও কয়েকজন সহযোগী ছিল। মুহূর্তেই চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার খবর পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগ নেতাদের কানে। শনিবার বিকালে ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখা গেছে।
ওই তরুণীর আরেক আত্মীয় জানান, ঘটনার পরপরই তারা ওই তরুণীর মা পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বাবুলকে নিয়ে ওই নেতার কাছে যান। তখন বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বরং মামলা না করতে হুমকি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের ওই নেতার এক চাচাতো ভাইয়ের মেয়েকে আমাদের এক আত্মীয়র কাছে বিয়ে দেয়। সেই সুবাদে নেতার ছেলে এখানে আসা-যাওয়া করত। তবে তার ভাগ্নির সঙ্গে ওই ছেলের কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা সেটি তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। মেয়েটির পরিবার অথবা এলাকার কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের ছেলে মাহী সরকার এর আগেও আখাউড়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ ধরা পড়ে। পরে তাকে বাদ দিয়ে পুলিশ ওই ঘটনায় তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলাটির অভিযোগপত্র দেয়। বেপরোয়া এই ছেলের বিরুদ্ধে রয়েছে আরও নানা অভিযোগ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।