বাঁচতে চান নাজিম!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২১শে জানুয়ারী ২০২০ ১২:০৫ অপরাহ্ন
বাঁচতে চান নাজিম!

দরিদ্র ঘরের সন্তান নাজিম উদ্দিন। বাবা-মা, ভাই-বোনসহ আট সদস্যের সংসার। অভাব অনটনে পড়ালেখা বেশীদূর এগোয়নি। টানাপোড়েনের সংসারে হাসি ফুটাতে ঋণ করে ২০১৫ সালে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। দরিদ্র পরিবারের সকলের স্বপ্নের বাতিঘর হয়ে উঠেছিলেন নাজিম উদ্দিন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! ২০১৮ সালে সৌদি আরবে চাকুরিরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানের একটি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার এ রোগ ধরা পড়ে। মাত্র তিন বছরের মাথায় অসুস্থতা নিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে।

চিকিৎসক জানিয়েছেন দ্রুত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে না পারলে তাকে বাঁচানো যাবে না। ছেলের এমন দুঃসংবাদে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্বপ্নকাতর বাবা-মাসহ পরিবারের সকলে। তার জীবন বাঁচাতে নিজের বাড়ির আঙিনার ৩৫ শতাংশ জমি বিক্রি করে চিকিৎসা চালিয়ে সে টাকাও শেষ হয়েছে। এখন ধার-দেনা করে আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় সপ্তাহে দুইদিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। এমন অবস্থা নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ভিটিপাড়া গ্রামের মোস্তফা মোল্লা এবং আইনুন্নাহারের সংসারে।

জানা যায়, দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে নাজিম দ্বিতীয়। সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে ২০১৫ সালে বিদেশ যান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সংসারের হাল ধরার আগেই তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে তিনি এখন মৃত্যু পথযাত্রী। 

নাজিমের প্রতিবেশীরা জানায়, তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করার মতো যতটুকু সামর্থ্য ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। তবে তা নগণ্য। তার জীবন বাঁচাতে হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বিত্তবানদের সহযোগিতা ছাড়া উপায় নেই।

নাজিমের বাবা মো. মোস্তফা মোল্লা জানান, গত তিন বছর ধরে নিজের সহায় সম্বল বিক্রি করে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তাকে সুস্থ করে তুলতে অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ অবস্থায় কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি তাকে একটি কিডনি দান করলে হয়তো সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। তাই দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্য কামনা করছি। তাদের সহযোগিতাই পারে আমার ছেলেকে সুস্থ করতে। নাজিম উদ্দিনের চিকিৎসার সাহায্য কামনা করে জনতা ব্যাংক, মনোহরদী, নরসিংদী শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়েছে। হিসাব নং- ০১০০১৬৫০৬৪৫৪৭ ও বিকাশ নম্বর- ০১৭৯৭-১০৩০৮৮।

ইনিউজ ৭১/এম.আর