ভোলা মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ভোলা পাক হানাদার মুক্ত হয়। এ জেলার মুক্তিযুদ্ধ একটি করুণ ঘটনা দিয়েই শুরু। বরিশাল দখলের পর ভোলা ট্রেজারী দখল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দ্বিমত হয়।
এ নিয়ে ২৮ এপ্রিল নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি হলে ঘটনাস্থলে ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট মাকসুদুর রহমান, আলী আশরাফ সহ ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়। ২ মে পাক বাহিনী ভোলা দখল করে।
ক্যাপ্টেন কায়ানি ও সুবেদার নওয়াব হোসেন ভোলায় রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। সুবেদার সিদ্দিকুর রহমান, আনসার এ্যাডজুটেন্ট আলী আকবর, আব্দুল আজিজ, কাজী আফতাব উদ্দিন ভোলায় মুক্তিবাহিনী গঠন করেন। ভোলার মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেন সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে আসা বোরহানউদ্দিন উপজেলার সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাঘা সিদ্দিক। ভোলায় মুক্তিবাহিনীর ৪৮ টি ক্যাম্প ছিল।
জেলার সর্বাধিক প্রাণহানীর যুদ্ধ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দেউলা, টনিরহাট ও গুইংগারহাটের যুদ্ধ। দেউলার যুদ্ধে ৬৪ জন পাক সেনা খতম হয়। অপরদিকে টনিরহাট ও গুইংগারহাট যুদ্ধে ৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১০ ডিসেম্বর ভোলা শত্রু মুক্ত হয় এবং বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে জনতা মুক্তির মিছিলে শামিল হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।