চাচা-ভাতিজা মিলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ১লা ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:১৭ অপরাহ্ন
চাচা-ভাতিজা মিলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে একই এলাকার শহিদ সরদার (৫৫) ও নাহিয়ান সরদার (১৪)। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এ ঘটনায় লম্পট চাচা-ভাতিজাকে আসামি করে শনিবার রাতে গৌরনদী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শহিদ সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ছাত্রী উপজেলার চাঁদশী মিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা একজন দিনমজুর। গত ৩০ জুলাই সকালে বাসায় একা পেয়ে লম্পট শহিদ সরদার শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় ঘরে ফিরে মেয়েকে ধর্ষণ করতে দেখে মেয়েটির মা চিৎকার দেন। লম্পট শহিদ সরদার তাকে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা মামলা করতে চাইলে সালিশে মীমাংসার কথা বলে বাধা দেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল সরদার ও গ্রাম্য মাতুব্বর নাসির সরদার। তারা ঘটনার প্রায় এক মাস পর স্থানীয় আলাউদ্দিন সরদারের বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসিয়ে ধর্ষক শহিদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে জরিমানার টাকা ধর্ষিতার পরিবার গ্রহণ করেনি। এর পর গত শনিবার ধর্ষক শহিদ সরদারের ভাতিজা একই গ্রামের সাহিদুল সরদারের ছেলে নাহিয়ান সরদার ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।

গৌরনদী থানার ওসি (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ধর্ষক শহিদ সরদার ও নাহিয়ান সরদারকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শহিদকে গ্রেফতার করেছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রোববার সকালে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বিচার সম্পর্কে চাঁদশী ইউপির সাবেক সদস্য আবুল সরদার বলেন, উভয় পক্ষই আমার বংশের লোক। এ ঘটনার সঙ্গে আমার বংশের মান-সম্মান জড়িত। তাই আমরা বিচার করে মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। সালিশ বিচারক নাসির সরদারের বক্তব্য জানার জন্য তার বাড়িতে গেলে সাংবাদিক দেখে আত্মগোপন করেন তিনি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব