যে কারণে খালাস পেলেন হলি আর্টিজান মামলার বড় মিজান
রাজধানী গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দেয়া হয় গতকাল।অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এবং মিজান ও ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ধার্য করেন।
মিজানুর রহমানের খালাসের ব্যাপারে আদালত রায়ে বলেছেন, কোন আসামি তাদের জবানবন্দিতে উল্লেখ করেননি, মিজানুর গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার বিষয়ে জানত বা কোনভাবে জড়িত ছিল।আদালত রায়ে বলেছেন, মিজানুর রহমান আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি মাছের ব্যবসা করতেন।
২০১৬ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে হারিস ওরফে করিম একদিন তাকে বলেছিল, তার সঙ্গে জামাল নামের একটা ছেলে দেখা করবে।জামাল সেদিন বিকেলে তার কাছে আসে।তার হাতে একটা ব্যাগ দেখেন। জামালের ব্যাগে যা ছিল তা জেল বোমা বলে শুনেছি। জামাল তাকে বলেছিল, এই জেল বোমা গুলশানে বড় ধরনের হামলায় ব্যবহৃত হবে।
আদালত রায়ে আরও বলেন, মামলার কোনো সাক্ষী হারিছ বা জামালের নাম কোথাও উল্লেখ করেননি। জাহাঙ্গীরের জবানবন্দিতে বলা হয়, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত করা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম ছোট মিজান ভারতে অবস্থানরত বড় ভাই বড় মিজানের মাধ্যামে সংগ্রহ করে মারজানকে দেয়। আদালত জাহাঙ্গীরের জবানবন্দি তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, জাহাঙ্গীরের জবানবন্দিতে উল্লেখ করা বড় মিজান যে এই মামলার আসামি মিজানুর রহমান তা সাক্ষ্যে আসেনি।
অন্য কোনো আসামি তাদের জবানবন্দিতে উল্লেখ করেননি যে এ মামলার আসামি মিজানুর গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার বিষয় জানত বা কোন ভাবে জড়িত ছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, ওরফে রাজীব গান্ধি, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাসেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ এবং মামলার আরেক আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।