কে আসল মুক্তযোদ্ধা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরাজী মো.ইমরান, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
কে আসল মুক্তযোদ্ধা!

নাম ও পিতার নামে মিল থাকায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও বারবার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। পরিবার নিয়ে চরম অশান্তি ভোগসহ হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছেন। মঙ্গলবার সকালে কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়নতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান মাতুববর। এসময় কলাপাড়া উপজেলা কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।   

লিখিত বক্তব্যে হাফিজুর রহমান বলেন, ৭২৭ নং গেজেটর ম-৯৪০৮৫ নং সাময়িক সনদপত্র ধারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০০৬ সাল থেকে ৪৮ নং বইয়ের মাধ্যমে কলাপাড়া সোনালী ব্যাংক থেকে তিনি ভাতা উত্তোলন করেছেন। কিন্তু কলাপাড়ার জনৈক হাফিজ মোল্লার সাথে তার নাম ও পিতার নামের মিল থাকায় হাফিজ মোল্লার মেয়ে পরিচয়ে লাইলী বেগম নামের এক নারী তাকেসহ তার পরিবার এবং কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধাদের জড়িয়ে নানা ধরনের বিষোদাগারসহ অপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিককদের ভুল তথ্য দিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে কলাপাড়ার লতাচাপলি ইউনিয়নের হাফিজ মোল্লা সাময়িক মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহন করে ২১/বি নং বইর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা  উত্তোলন করেন। এনিয়ে বিরোধ সৃস্টি হলে পটুয়াখালী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড যাচাই বাছাই শেষে ২০১২ সালে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তাকে স্বীকৃতি প্রদান করেন। 

এদিকে গত শনিবার সকালে কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়নতে অনুষ্ঠিত অন্য এক সংবাদ সম্মেলনে মৃত মুক্তিযোদ্ধা হাফিজর রহমান মোল্লার বড় মেয়ে লাইলী বেগম দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধার নাম ও পিতার নাম মিল থাকায় আট বছর ধরে ভাতার টাকা উত্তোলন করছেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান মাতুব্বর। মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে সন্তানদের চাকুরিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তার পিতা হাফিজুর রহমান মোল্লা ৭২৭ নং গেটের ১৫০৮৬৪ নং সাময়িক সনদ পত্র ধারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তার পিতা ২০০৭ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কলাপাড়া সোনালী ব্যাংক থেকে ভাতা উত্তোলন করেছেন। 

মুক্তিযোদ্ধাসহ তাদের পরিবারের এমন পাল্লাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে জনমনে ওঠেছে নানাবিধ প্রশ্ন। কে আসল আর কে নকল। তবে সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করলে বেরিয়ে আসবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এমটাই মনে করেছেন এলাকাবাসী। 

ইনিউজ ৭১/এম.আর