কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পথচারীদের নিরাপদ সড়ক পারাপার নিশ্চিত করতে মোহাম্মদপুর টাউন হলের পাশে এসএফএক্স গ্রীন হেরাল্ড স্কুলের সামনের সড়কে পুশ বাটন টাইম কাউন্টডাউন সিগন্যালসহ জেব্রা ক্রসিংয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। এরমধ্যে দিয়ে রাজধানীতে প্রথমবারের মতো ‘স্মার্ট ট্রাফিক লাইট সিস্টেম’ পদ্ধতি চালু হলো। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় উপস্থতি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সিস্টার রেবা ভেরোনিকা ডি'কস্টা, স্কুলের অধ্যক্ষ সিস্টার ভার্জিনিয়া আশা গোমেজ, ডিসি (ট্রাফিক পশ্চিম জোন) জসীম উদ্দীন মোল্লাসহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সিটি করপোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বেলা সোয়া ১২টায় মেয়র আতিকুল ইসলাম স্কুল প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আশা গোমেজসহ অন্যান্যরা মেয়রকে স্কুল গেটে স্বাগত জানান। এরপর স্কাউটের একটি সুসজ্জিত দল মেয়রসহ অন্যান্য অতিথিদের স্কুলের বাস্কেট গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসেন। এসময় মেয়রকে দেখে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয় দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে অপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা। তারা করতালি দিয়ে মেয়রকে স্বাগত জানান। মেয়র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাইফাইভ করেন। এসময় অনেক শিক্ষার্থী ছুটে গিয়ে মেয়রকে জড়িয়ে ধরেন।
এরপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত ও স্কুল সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এসময় যথাক্রমে জাতীয় পতাকা ও স্কুলের পতাকা উত্তোলন করেন আতিকুল ইসলাম ও আশা গোমেজ। অতিথিরা মঞ্চে আসনগ্রহণ করলে তাদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি সঞ্চালনা করেন স্কুলের শিক্ষক ম্যালকস মেন্ডেজ ও শিরপী রায়। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের আতিকুল ইসলাম বলেন, তোমরাই বাংলাদেশ। তোমরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তোমরাই আমাদের রাষ্ট্রনায়ক। কেননা তোমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তোমাদের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এসময় নিরাপদে সড়ক আইন মেনে চলা, শিক্ষকদের কথা, বাবা মায়ের কথা মেনে চলার উপদেশ দেন।
সড়কে ট্রাফিক আইন মেনে চলার কথা আবারও উল্লেখ করে চালকদের উদ্দেশে আতিকুল ইসলাম বলেন, এখানকার নতুন সিগন্যাল লাইটের সঙ্গে ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে। যেসব গাড়ির ড্রাইভার এখানে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করবে তাদের গাড়ির নম্বর ক্যামেরা দিয়ে খুঁজে বের করা হবে। তাদেরকে চিহ্নিত করে ধরে ধরে মামলা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই পুলিশকে সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেব্রা ক্রসিং দিয়ে যেন শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ সকল বয়সের মানুষ সহজে সড়ক পারাপার হতে পারে তার জন্য ফুটপাতকে রাস্তার সঙ্গে জিরো স্লোপে মেলানো হয়েছে। গাড়ির গতি হ্রাস করার জন্য রেইজড জেব্রা ক্রসিং তৈরি করা হয়েছে। জানা গেছে, পথচারীদের পারাপারের জন্য প্রাথমিকভাবে গ্রিন সিগন্যাল হিসেবে ২৫ সেকেন্ড সময় প্রদান করা হয়েছে। গ্রিন সিগন্যাল বন্ধ হলে আবার ১২৭ সেকেন্ড পরে গ্রীন সিগন্যালের জন্য পুশ বাটন কার্যকর হবে। সিগন্যাল সমূহে পথচারী ও গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ললিপপ লেডি নিযুক্ত করা হবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।