বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে চলমান মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন স্থাগিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের মধ্যে আন্দোলন ও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিন্ধান্ত জানিয়েছে তারা। আজ মঙ্গলবার (১৫) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের এতথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল শিক্ষক দের সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতি বন্ধে শপথ গ্রহণ কর্মসূচি করা হবে। এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আন্দোলন করা হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে ইতিমধ্যেই ছয়-সাতটি কার্যকর করা হয়েছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই আমরা মাঠপর্যায়ের আন্দোলনের আপাতত ইতি টানলাম। কিন্তু আমরা আমাদের দাবিগুলো পূর্ণ কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করব। এ সময় আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এর আগে আবরার হত্যার বিচার দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গনে বৈঠক করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বৈঠক শেষে বিকাল ৫টার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন তারা।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।