
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:১১

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল সিটি সেন্টার পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলছে। এটি এমআরটি লাইন- ৬। এছাড়া এমআরটি লাইন-১ ও এমআরটি লাইন-৫ নামে আরও দুটি মেট্রোরেল লাইনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)’ ও ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দান রুট’ শিরোনামে দুটি আলাদা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্প দুটিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৯৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
লাইন-১ এর আওতায় মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল হবে। এতে খরচ হবে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা। এ লাইনের কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালে। লাইন-৫ এর আওতায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল হবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভায় এ সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে। সভায় লাইন দুটি অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং ২৯ হাজার ১১৭ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার আসবে বৈদেশিক ঋণ থেকে। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, যানজট সমস্যা সমাধান ও রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, কুড়িল ও আশপাশের এলাকায় শুরু হয়েছে মাটি নিরীক্ষার কাজ। পাতাল রেলে ৫০ ফুট গভীরে তৈরি হবে স্টেশন। প্রতিটিতে ট্রেন থামবে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড। বিদ্যুত চালিত ট্রেনে ২০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগবে ২০ মিনিট।
