আবরারের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে শহীদ মিনারে বুয়েটের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. একেএম মাসুদ রানা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। মাসুদ রানা বলেন, "বাবা-মা শিক্ষার্থীদের আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।" আবরারের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সাত দফা দাবিগুলো হলো-হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত ও খুনীদের ছাত্রত্ব আজীবনের মতো বাতিল, দায়ের করা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি, ঘটনার ৩০ ঘণ্টার মধ্যেও ঘটনাস্থলে ভিসি কেন উপস্থিত হননি তার জবাবদিহিতা, আবাসিক হলগুলোতে র্যাগের নামে ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সব ধরনের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল, একই সঙ্গে আহসানউল্লা হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল, রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যাহার। সর্বশেষ দাবিটি হচ্ছে, আবরারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও সব মামলার খরচ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সোমবার ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এছাড়া আবরার ফাহাদকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ থেকে ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।