তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। শনিবার নয়াদিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে ৭টি সমঝোতা ও চুক্তিতে সই করেছে দু'দেশ। দুই নেতার উপস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথ তিনটি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ভারত-বাংলাদেশে সবশেষ জাতীয় নির্বাচনের পর, এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় আয়োয়োজন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুরে নয়াদিল্লীর ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর, দুই শীর্ষ নেতা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। এ সময়, দুই দেশের মধ্যে উপকুলে সার্বক্ষণিক নজরদারি ব্যবস্থা, সমুদ্র বন্দর ব্যবহার, ফেনী নদীর পানি সরবরাহসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে, হায়দ্রাবাদ হাউসের বলরুমে দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়।
এ সময় ভারতে উত্তর পূর্বাঞ্চলে এলপিজি রপ্তানিসহ খুলনায় প্রফেশনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা রাম কৃষ্ন মিশন স্কুলে বিবেকানন্দ ভবন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করে দুই প্রধানমন্ত্রী। পরে যৌথ বিবৃতিতে কথা বলেন দুই নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, আগামীতে সহযোগিতামূলক এই পারস্পরিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, 'এসকল বহুমুখী বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে আমাদের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সম্মুখে সুপ্রতিবেশিসুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত বলে পরিগনিত হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি ভবিষৎয়েও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।' জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেন, দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশ্বে বন্ধুত্বের অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। বৈঠকের পর তিস্তা, রোহিঙ্গা ও আসামের এনআরসি ইস্যু নিয়ে কোনো কথা বলেন নি দুই নেতার কেউই।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।