
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০১৯, ২৩:৫৭

একসময়ের প্রভাবশালী রাষ্ট্রপতি যিনি দীর্ঘ নয় বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন, বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জ তথা অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের জন্য লড়াই করেছেন, শেষ জীবনে এসে প্রায় নিঃসঙ্গতার মধ্যে তাকে দিন পার করতে হয়েছে। জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন দলীয় মতামতের ওপর ভিত্তি করে এবং সবার সঙ্গে আলোচনা করে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম লিখন জীবন সায়াহ্নে বিশ্বস্ত কয়েকজন গৃহকর্মী ছাড়া তার পাশে কিউই ছিলেন না। এরশাদের শেষজীবনের নিঃসঙ্গতার চিত্র বর্ণনা করতে গিয়ে প্রাক্তন স্ত্রী বিদিশা এরশাদ তার ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেন, ‘৪০ বছরের বেশি ব্যবধান আমাদের দুজনের বয়সের। কিন্তু একদিনও উনি আমাকে তা বুঝতে দেননি সেই পার্থক্যটা।’
কোনো দোকানে আমি শ্যাম্পুর বোতল খুলে গন্ধ বা সাবানের ঘ্রাণ নিলে উনি পরের দিন কিনে নিয়ে আসতেন ওগুলো। আমি বিস্মিত হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে থাকলে বলতেন, তোমার চুলে আমি গন্ধটা পেতে চাই। এমন কত যে অসংখ্য মেমোরি আছে আমাদের, লিখে শেষ করা যাবে না তা। ‘গতকাল থেকে উনার বেশ জ্বর। হসপিটালের আইসিইউতে শুয়ে আছেন। রুগ্ন, ক্লান্ত শরীর। বয়সের ভারে টায়ার্ড। আর চলতে চায় না জীবন। অন্য সবাই মেনে নিয়েছে বয়সের কাছে হার মানা এরশাদকে। ফিসফিস করে সবাই কবরের কথাও বলছে, কানে আসছে আমার। কিন্তু আমি ও এরিক তো হার মানতে দিব না তোমায়। আমরা তো রাজনীতির প্যাঁচ বুঝি না। এরিক জায়নামাজে আছে পড়ে, কয়টা দিন। তুমি ছাড়া ও একা ভাত খেতে চায় না। শুধু তুমি ভালোভাবে ফিরে এসো। আমরা তোমাকে এই অবস্থায়ই চাই। তুমি যে অবস্থায় আছো তেমনি চাই।’

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব