বড় ধরনের হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে জামায়াত-শিবির ভারি অস্ত্র সংগ্রহ করছে বলে নিশ্চিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
সম্প্রতি সিটিটিসি‘র বিশেষ দল রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে একটি অত্যাধুনিক আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ‘একে ২২’ জব্দ করে। সূত্র জানাচ্ছে, জামায়াত-শিবিরের বিশেষ বাহিনীর জন্য অস্ত্রটি দেশে আনা হয়েছিল। ওই অস্ত্র উদ্ধারের পরেই বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার জাহাঙ্গীর আলম ইনিউজ৭১ কে তথ্য সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ৩০ জুন একে ২২ রাইফেলটি হাত বদল হবে এমন তথ্য পেয়েছিলাম আমরা। সে অনুযায়ী ওয়ারীর রাজধানী সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ। অস্ত্রটি হাত বদলের সময় দু’জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন, সাইদুল ইসলাম মজুমদার (৩০)। তার বাড়ি কুমিল্লার শোভাপুর মধ্যপাড়া এলাকায়। সাইদুলের বাবার নাম রফিকুল ইসলাম মজুমদার। অন্যজন হলেন একই এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন (৩৫)।এই ঘটনা নিয়ে ইনিউজ৭১ অনুসন্ধানে বেড় হয়ে আসে এর মাস্টার মাইন্ড বা অর্থ যোগানদাতার নাম । তার নাম হচ্ছে মুহাম্মাদ রাকিব হাসান । তার পরিবারের বহু সদস্য রয়েছে জামায়াত-শিবিরের সাথে জড়িত এবং এখন পর্দার আড়ালে থেকে এই মাস্টার মাইন্ড চালাচ্ছে কারসাজী । ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে নিয়ন্ত্রণ করছেন ইয়াবার বড়ো বড়ো সিন্ডিকেট । মূলত ইয়াবা বা মাদকের টাকা দিয়ে এই ভারি অস্ত্র সংগ্রহ করছে বলে নিশ্চিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আরও অনুসন্ধান চলছে এবং অচিরে তাকে ধরা হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আমরা তুলে ধরবো পরবর্তী অনুসন্ধানে তার কুকীর্তির সব কাহিনী ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।