কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৯নং ওয়ার্ডে মৃত-কলসী বড়ুয়ার ছেলে মিলীন বড়ুয়া(৩৫) ও মৃত ক্যায়াজু বড়ুয়ার ছেলে বজেন্দ্র বড়ুয়া(৪৫)তাঁর বাপ- দাদার দিনের ভোগদখলীয় ১৮০০ শতক জমি জবরদখল করার উদ্দেশ্যে ভূঁয়া খতিয়ান সৃজন করে একই এলাকার মৃত-হাজী মোঃ কাশেমের ছেলে ছমি উদ্দিন(৬০)। পরবর্তীতে বজেন্দ্র বড়ুয়া গং বিষয়টি জানতে পেরে আপত্তি জানালে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম তা বাতিল করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ সংখ্যালঘু মিলীন বড়ুয়া অভিযোগ করে জানান, উখিয়া মৌজার ৩৩৯নং খতিয়ানের ৭৬৯৯ও ৭৭৮৩ দাগের ১৮০০শতক জমি আমার বাপ-দাদার দিনের খতিয়ানভূক্ত ভোগ দখলীয় জায়গা হয়। কিন্তু রোহিঙ্গা আশার পর থেকে কুতুপালং এলাকার জায়গা-জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় ছমি উদ্দিন গংয়ের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে এই জায়গাটির উপর। সে আরো জানায়, একই দাগের আন্দরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাঁরা একটি ভূঁয়া খতিয়ান সৃজন করেন। যাহা আমরা আপত্তি জানালেন বাতিল করতে বাধ্য হয় সহকারি কমিশনার (ভূমি) উখিয়া।
কিন্তু আমরা টাকা পয়সা, ক্ষমতার দিক দিয়ে দূর্বল হওয়ায় উক্ত প্রভাবশালী ছমি উদ্দিন গং আমাদেরকে জায়গা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য মিথ্যা ঘটনা সাঁজিয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে জানার জন্য ছমি উদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, আমাদের মাঝে দীর্ঘদিনের একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল। কিন্তু ছমি উদ্দিন গংরা এটি নষ্ট করার জন্য বারবার চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু আমরা চাইনা এ সম্প্রীতি নষ্ট হোক। তাই উক্ত ভূমিদস্যু ছমি উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান তাঁরা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, বড়ুয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ ধরণের কোন অভিযোগ এখনো আমার কাছে আসেনি। যদি আসে তাহলে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।