বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে হত্যার নতুন ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখ গেছে হত্যার উদ্দেশ্যে বরগুনা কলেজ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করা হচ্ছে রিফাতকে। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাত হত্যার পরিকল্পনাকারী নয়ন বন্ড হলেও কিলিং মিশনে মূল ভূমিকা পালন করে রিফাত ফরাজী। এ সময় এলোপাতাড়ি কোপাতে দেখা যায় নয়ন ও ফরাজীকে। হত্যাকাণ্ডের শিকার রিফাত শরীফ ঘটনার দিন সকাল ১০টায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিতে সাদা একটি মোটরসাইকেলে কলেজে আসেন। ১০টা ৩ মিনিটে রিফাত ফরাজী ৬ থেকে ৭ জনকে নিয়ে কলেজ গেটের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে।
দুই থেকে তিন মিনিট পর ২-৩ জনকে কলেজে পাঠায় সে। ১০টা ৯ মিনিটে তারা কলেজ থেকে বেরিয়ে রাস্তার উল্টো পাশে অবস্থান নেয়। এক মিনিট পর ঘাতক রিফাত ফরাজী কলেজ গেটের কাছে এসে অপর দুই ছেলেকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে উল্টো দিকে পাঠায়। ১০টা ১২ মিনিটে কলেজ থেকে বেরিয়ে রিফাত গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিল, এ সময় ঘাতক রিফাত ফরাজী রিফাত শরীফকে টেনেহিঁচড়ে নয়ন বন্ডের কাছে নিয়ে যায়। পেছনে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিকেও দেখা যায়। বন্ড বাহিনির সদস্যরা রিফাত শরীফকে কিলঘুষি মারতে থাকে। আর রিফাত ফরাজী ও অপর একজন দৌড়ে গিয়ে তিনটি রামদা নিয়ে আসে। পরে রিফাত ফরাজী একটি দা নয়ন বন্ডকে দেয়, আরেকটি দিয়ে সে নিজেই কোপাতে শুরু করে রিফাত শরীফকে। একপর্যায়ে রিফাত শরীফকে ফেলে ১০টা ১৫ মিনিটে নয়নসহ বন্ড বাহিনী চলে যায়। আর ঘটনার ৮ মিনিট পরে দু’জন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খোঁজখবর নিতে শুরু করে।
এ ঘটনায় পর দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুর হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে এবং ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, ৬ জন এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে চন্দন, মো. হাসান, অলিউল্লাহ ও তানভীর হাসান জবানবন্দি দিয়েছে। এই চারজনের মধ্যে প্রথম তিনজন এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়া মামলার আসামি নয়ন বন্ড গ্রেপ্তারের পর পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত হন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।