হিজলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ৩রা জুলাই ২০১৯ ০৬:২৮ অপরাহ্ন
হিজলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত ডাঃ খাদেম হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বরুণ কুমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য মোঃ শাহে আলম ( রাকিব ) সিকদার। প্রধান শিক্ষকের পাহাড় সমান দুর্নীতির প্রতিবাদে রাকিব সিকদার, বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের ব্যাপারটি এলাকায় বেশ আলোচিত হয়েছে। রাকিব সিকদার জানান, প্রধান শিক্ষক বরুণ কুমার এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে উন্নয়নের নামে বিভিন্ন কৌশলে শিক্ষার্থীদের কাজ থেকে টাকা আদায় করছেন। এ বিদ্যালয়ে ৭৩৯ জন  শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার সময় ফির সাথে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৩০ টাকা, জাতীয় উৎসবের নামে ৩০ টাকা, আদার চার্জ ১০০০ টাকা নিয়ে থাকে।

এতে পরীক্ষার সময় টাকার পরিমাণ অনেক দাড়ায়। সদস্য হিসাবে কারো জন্য সুপারিশ করলে তার কাছে গ্রহণ হয় না। যদি কেউ টাকা কম দিয়ে থাকে, তাকে প্রবেশ পত্র না দিয়ে, দিন নির্ধারণ করে দেয়া হয় এবং ভৎসনা করা হয়। নিয়মিত বিদ্যালয় চলা কালে কেউ যদি বিদ্যালয়ে না আসে তার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। না দিতে পারলে শাস্তি হিসেবে ঐ ক্লাশের পুরোটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এস এস সি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশ পত্র বাবদ ৫০০ টাকা রাখা হয়।আবার প্রশংসা পত্রেও ৫০০ টাকা রাখা হয়। ক্রীড়া অনুষ্ঠানের ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, পুকুর ভরাট করতে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কোনো টাকারই সঠিক ব্যয় তিনি দেখতে পারেননি। আর বিদ্যালয়ের কোনো সিদ্ধান্তে সদস্যদের ডাকেন না। টাকার হিসাব চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, বছরে তার বিদ্যালয়ে ব্যয় হয় ৩৫ লক্ষ টাকা।

এ বিদ্যালয়ে যোগদানের কিছু দিন পরেই উপজেলা সদরে রবি টাওয়ারের কাছে ১০ লক্ষ টাকায় জমি কিনেছেন বরুণ কুমার। আমার এলাকার গরীব শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ২৬ জুন ২০১৯ তারিখে বিদ্যালয়ের সভাপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি। আর প্রধান শিক্ষক বরুণ কুমারের দুর্নীতির কথা তুলে ধরে পদত্যাগ পত্রের একটি করে কপি হিজলা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রেরণ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বরুণ কুমার জানান, তার অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। প্রধান শিক্ষক হিসাবে শিক্ষার্থীদের প্রতি তার যথেষ্ট খেয়াল রয়েছে। প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের যেটা মঙ্গল হয়, আমি সেটাই করার চেষ্টা করবো।

ইনিউজ ৭১/এম.আর