আজ ১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৯২১ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘গুণগত শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’।৯৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং গবেষণালব্ধ জ্ঞান দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে আরও বেশি করে অবদান রাখবে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ সারাদিন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকালে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা ওড়ানো, কেক কাটা, সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন এবং উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনসংলগ্ন মল চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
বেলা ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গুণগত শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এএফএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে দুর্লভ পাণ্ডুলিপি প্রদর্শন করা হবে। চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে বেলা ৩টায় অনুষদ প্রাঙ্গণে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হবে। বায়োমেডিকেল ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কার্জন হল ভবনের উত্তর-পূর্ব বারান্দায় উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সুইমিং পুলে সাঁতার প্রতিযোগিতা, দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে সাইকেল শোভাযাত্রা এবং বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও ডাকসুর মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ হবে।
১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ডিগ্রি ক্লাসে অধ্যয়নরত ছাত্রদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। শুধু ছাত্র নয়, শিক্ষক এবং লাইব্রেরির বই ও অন্যান্য উপকরণ দিয়েও এই দুটি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে। এই সহযোগিতা দানের কৃতজ্ঞতা হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি হলের নামকরণ করা হয় ঢাকা হল (বর্তমানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল) ও জগন্নাথ হল। প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।