শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার মেয়রের বাসভবনে গিয়ে ছেলের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে ওই কলেজছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণ করে জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইউনুস বেপারীর ছেলে মাসুদ বেপারী (৩১)। এ ঘটনায় মাসুদ বেপারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে মাসুদ বেপারীকে গ্রেফতার করে জাজিরা থানা পুলিশ। বিকেলে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী বাদী হয়ে জাজিরা থানায় মাসুদ বেপারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। ধর্ষণের শিকার তরুণী জাজিরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। তার বাড়ি জাজিরা উপজেলায়।
কলেজছাত্রীর মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে মোবাইলে মেয়রের ছেলে মাসুদের সঙ্গে কলেজছাত্রীর পরিচয় হয়। শনিবার সন্ধ্যায় কলেজছাত্রীকে বাসায় এসে দেখা করতে বলে মাসুদ। বাসায় গেলে একটি কক্ষে কলেজছাত্রীকে আটকে রাখা হয়। পরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে মেয়রের ছেলে মাসুদ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন কলেজছাত্রী। মেয়রের বাড়ির বাইরে এলে স্থানীয় নারীরা কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইউনুস বেপারী বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। এটি একটা ষড়যন্ত্র। আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের খবর শুনে রোববার সকালে জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইউনুস বেপারীর ছেলে মাসুদ বেপারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকেলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন কলেজছাত্রী। পাশাপাশি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কলেজছাত্রীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।