কলাপাড়ায় ১১ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার শেষ বিকালে উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষনের এ ঘটনায় রক্ত ক্ষরনে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পরলে স্বজনরা শিশুটিকে উদ্ধার করে বুধবার রাতে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাতেই দ্রুত পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে শিশুটি পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষিতা ওই শিশু জানায়, বুধবার শেষ বিকেলে স্থানীয় বাজারে একটি মোবাইল মেরামতের দোকান থেকে তার মায়ের মোবাইল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় পথিমধ্যে একই এলাকার আনোয়ার সরদারের ছেলে শাহীন সরদার (২৩) তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্বের একটি জঙ্গলে নিয়ে জোড় পুর্বক ধর্ষন করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় বাড়িতে পৌছান। এঘটনায় ধর্ষিতার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবী জানিয়েছেন। এদিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ধর্ষনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
ডাবলুগঞ্জ ইইনয়নের ১ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ রাকিবুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন রাতে আমরা মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রæত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। তিনি আরো জানান, মেয়েটি প্রথমে লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না বলতে চাইলে রক্ত ক্ষরনের বিষয়টি জানতে চাইলে তার মায়ের কাছে জানান, শাহীন তাকে ধর্ষন করেছে। কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রচুর রক্তক্ষরন হচ্ছিল এবং ইনজুরি ছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরন করি। মহিপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।