পদ্মাসেতুর ‘৩সি’ স্প্যান বসছে না শুক্রবারও

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২৮শে জুন ২০১৯ ১২:৪১ অপরাহ্ন
পদ্মাসেতুর ‘৩সি’ স্প্যান বসছে না শুক্রবারও

পদ্মাসেতুর চতুর্দশ স্প্যান '৩সি' সেতুর ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের উপর বসানোর কার্যক্রম শুক্রবারও (২৮ জুন) স্থগিত করা হয়েছে।পিলার এলাকায় পলি জমার কারণে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটির নোঙর সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে ড্রেজিং করে পলি অপসারণ করা হচ্ছে। তবে পলি অপসারণ করতে শুক্রবার সারাদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী সূত্র। শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মাসেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্র স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু না হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) স্প্যানটি পিলারের উপর বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়া আর পলি সমস্যার কারণে তা স্থগিত করা হয়। এখন স্প্যানবহনকারী ভাসমান ক্রেনটি ১৪ নম্বর পিলারের কাছে অবস্থান করছে। স্প্যানটি বসানো হলে দৃশ্যমান হবে সেতুর ২১০০ মিটার ২.১ কিলোমিটার)। 

পদ্মাসেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল থেকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নির্দিষ্ট সময়ে স্প্যানটি রওনা দেয়নি। এছাড়া পিলার এলাকায় পলি জমায় স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি নির্ধারিত পিলারের কাছে সুবিধাজনক স্থানে যেতে পারেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ড্রেজিং করে পলি অপসারণ করার কাজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত ড্রেজিং করে সুবিধাজনক অবস্থা আসেনি। তাই আজকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে না। বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওনা দিয়ে মাঝপদ্মায় ১২টার দিকে অবস্থান নেয়। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে আনে তিন হাজার ৬শ’ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন।

পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র বাংলানিউজকে জানান, ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের উপর স্প্যানটি বসানোর নির্ধারিত সময় ছিল শুক্রবার। কিন্তু সকাল থেকে প্রতিকূল আবহাওয়া আর পিলারের কাছে পলি জমে থাকায় স্থগিত করা হয় স্প্যান বসানো। বর্তমানে পলি অপসারণে ড্রেজিং করা হচ্ছে। ভাসমান ক্রেনটি পলি সমস্যার কারণে নোঙর করতে সমস্যার সম্মুখীন হবে।জানা যায়, পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।