শরীয়তপুর সদর উপজেলায় পাটানি গাঁও গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৩ জুন সন্ধায় সুকুমার মন্ডল (৫৫) নামে এক কাঠমিস্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এর পর ৮ দিন ঢাকার একটি বে- সরকারী হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২০ জুন রাতে মৃত্যুবরন করেন সুকুমার মন্ডল।
উল্লেখ্য, জেলার সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের পাটানি গাঁও গ্রামের মৃত ক্ষেত্রমোহন মন্ডলের ছেলে সুকুমার মন্ডলের প্রতিবেশী মৃত নিবারণ মন্ডলের ছেলে জয়দেব মন্ডলের সঙ্গে স্বরস্বর্তী পুজা ও কুকুর পালাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন পর গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার আটং এলাকায় বটগাছের নিচে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সুকুমার মন্ডলের উপর হাতুরী, লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে, জয়দেব মন্ডল (৫৫), সনাতন মন্ডল (২৫), চঞ্চল মন্ডল (২২), কালু মন্ডল (৬৫), যাদব মন্ডল (৪০), অনাথ মন্ডল (২৮)সহ আরো অনেকে। পরে অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সুকুমারের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় শুকুমার মন্ডলের ভাতিজা বিশ্বজিৎ মন্ডল বাদী হয়ে গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে ৬জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ও এআইটির সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন। পরের দিন শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে আসামী অনাথ মন্ডলকে আটক করে পুলিশ। রবিবার অনাথ আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়ে যায়। পরে বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নিতে হুমকী দিচ্ছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সুকুমার হত্যার ঘটনায় পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, এ হত্যার ঘটনায় প্রথম একজন আটক হয় এর দুদিন পর কোর্ট থেকে জামিনে বেড়িয়ে যায়, এবং সাগর মন্ডল নামের আরো একজনকে আটক করা হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।