ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুকুল আবহাওয়ার বজায় থাকার কারনে চলতি মৌসুমে লিচুর উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বেশি উৎপাদন হয়েছে। বাম্পার ফলনের আশা করছেন লিচু চাষীরা। জেলায় ৬৫০ মেট্রিকটন লিচুর টার্গেট কৃষি বিভাগের ।যার বাজার মূল্য ১৬ কোটি টাকা। জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে বিজয়নগর, কসবা ও আখাউড়ায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে এবছর লিচুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬শ ৫০ মেট্রিকটন। লাল মাটির কারনে জেলার সীমান্তবর্তী মিষ্টির উপজেলা বলে খ্যাত বিজয়নগরে সবছে বেশি লিচুর আবাদ করা হয়েছে।বিজয়নগরের লিচু সুস্বাদু হওয়ায় দেশ বিদেশে এ উপজেলার লিচুর খ্যাতি রয়েছে।ঢাকা,সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে এখানকার লিচু নিয়ে যায়।এখানে উৎপাদিত লিচুর মধ্যে পাটনাই, চায়না -৩ ও বোম্বাই উল্লেখযোগ্য।
ইতোমধ্যে পাটনাই জাতের লিচুর সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তবে গুনগতমান ভাল ও বিষমুক্ত হওয়ায় এর কদর দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার লিচু আশপাশের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে।লিচু চাষীরা জানান,গত বছরের তুলনায় এবছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে।লাভবান হবেন তারা।এবছর লিচু আকারে বড় হয়েছে।পবিত্র রমজান মাসের কারণে তারা লিচু কম বিক্রি করছেন। সরেজমিনে উপজেলার আউলিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় সাড়ি সাড়ি ভাবে লিচু সাজিয়ে রেখেছেন লিচু চাষীরা। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজারে ভোরে লিচুর হাট বসে।সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে গাড়িতে করে লিচু নিয়ে যায়। পাইকারী ব্যবসায়ী মো. আজগর আলী বলেন, আমি প্রতিদিন আউলিয়া বাজার থেকে লিচু কিনে নিয়ে যায়।
মো. সুরুজ মিয়া বলেন, এই বাজার থেকে লিচু নিয়ে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বিক্রি করি। মো. শহিদুল্লাহ বলেন ,আউলিয়া বাজার খুব ভোরে লিচুর হাট বসে সেজন্য আমি ভোরে এখানে এসেছি।আউলিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, একশত লিচু বিক্রি হচ্ছে দুইশত টাকা থেকে তিনশত টাকা।লিচু আকারে ছোট হলে দামও কিছুটা কম।স্থানীয় কৃষি অফিসার মো. আশরাফুল আলম বলেন,বিজয়নগরের মাটি লিচু চাষের উপযোগী হওয়ার কারনে এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে লিচুর আবাদ করা হয়েছে।এবছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে।আমরা আশাকরি লিচু এবছর বাম্পার ফলন হবে।তিনি আরো বলেন, ঢাকা ও সিলেট সহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে গাড়ি দিয়ে একানকার লিচু নিয়ে যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু নাছের বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবছর ৪৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে।চলতি মৌসুমে লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি লিচু উৎপাদন হবে।লিচু আবাদের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে লিচু চাষীদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এবছর জেলায় লিচুর ফলন ভালো হওয়ায় আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন চাষীরা ,সেইসাথে হাসি ফুটবে লিচু চাষীদের মুখে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।