গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছেন। এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে রোগী ও তার স্বজনরা আহত হচ্ছেন। জরাজীর্ন ভবনে ঝুকির মধ্যে এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চলছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে হাসপতালের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ২ শিশুসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। পরে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে রোগী বের করে বারান্দা ও ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঝঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
আজ হাসপাতালে অসুস্থ মামাকে দেখেতে এসে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের উজ্জ্বল মোল্লার শিশু ছেলে তামিম মোল্লা (৭) আহত হয়েছে। এ সময় তামিমের খালা কুলসুম বেগম (১৯) ও খালাত বোন শারমিন খানম (৬) আহত হন। তামিম কোটালীপাড়া উপজেলার লোহারঅংক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তামিম মোল্লাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অপর দু’জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ ঘটনার পর রোগীদের হাসপাতালের বারান্দা ও ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বর্ণালী রায় (৪৫) বলেন, মঙ্গলবার ওয়ার্ডে কাজ করার সময় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। ওই বাচ্চাটির মাথা ফেটে রক্ত পড়ছিলো। আমি মাথা চেপে ধরে বাচ্চাটিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেই। এর আগেও ফ্যান পড়ে নার্স আহত হয়েছেন। এছাড়া ছাদের পলেস্তার প্রায়ই খসে পড়ে অনেকে আহত হয়েছেন। কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, ওই শিশুটিকে সব ধরনের সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ওষুধের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তার অবস্থা আশংকা মুক্ত। দুই ওয়ার্ড থেকে রোগী বের করে বারন্দা ও ফ্লোরে রাখা হয়েছে।হাসপাতালের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে রোগী স্থানাস্তর করতে পারলে এ ঝুঁকি নিরসন হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।