বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যে যাই বলুক অর্থনীতিতে আমরা একটা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছি। সম্প্রতি আমি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়েই আমি বুঝতে পারলাম যে, আমাদেরকে তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের আগের অবস্থান এখন আর নেই। ৬৫টি দেশ ওই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিল। তারা আমাদের বিষয়ে জানতে আগ্রহী। এলডিসি থেকে উত্তরণে আমাদের কী কী বিষয়ে কাজ করেছে -এসব প্রশ্ন বেশি বেশি এসেছে। এ ধরনের প্রায় ১০০টি প্রশ্ন বিভিন্ন দেশ থেকে করা হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) ইআরএফের কার্যালয়ে ‘বাণিজ্য ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি বাংলাদেশের ব্যাপারে ডব্লিউটিও এর সদস্যদের উৎসাহ অনেক। বিশেষ করে বাংলাদেশ কিভাবে এলডিসি দেশগুলোর মধ্যে লিড করেছে। তারপর ওই কনফারেন্সে আমরা আমাদের সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেছি। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে যে চ্যালেঞ্জের মুখে পরবো -সেগুলো উন্নতরণে করণীয় নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, কোন কোন দেশের সঙ্গে আমরা শুল্কমুক্ত চুক্তি করব, কোন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করব -এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি আমরা চেক রিপাকলিকানদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। তারা বাংলাদেশে পাওয়ারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ তারিখ আমি মস্কো যাচ্ছি। সেখানে ইউরোশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। রাশিয়া, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, কিরগিস্থান ও কাজাকিস্থান নিয়ে এ কমিশন গঠিত। এটি স্বাক্ষর হলে ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজতর হবে এবং রাশিয়াসহ ইউরোশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত পণ্য সরবরাহের পথ সুগম হবে। এছাড়া বাণিজ্যের পরিমাণও বাড়বে। ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।