ক্রয়মূল্যের চেয়ে তিনগুণ বেশি দামে কাপড় বিক্রি হচ্ছে নগরের অভিজাত শপিংমল মিমি সুপার মার্কেটে। মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করছেন। শুক্রবার (২৪ মে) জেলা প্রশাসনের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব অনিয়ম ধরা পড়ে। অভিযানে অতিরিক্ত দামে কাপড় বিক্রি ছাড়াও ভ্যাট ফাঁকির অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে এসব অনিয়মের কারণে মিমি সুপার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান এবং কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
মিমি সুপার মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।অভিযান পরিচালনার আগে বাজার মনিটরিং টিমের সদস্যদেরকে ছদ্মবেশে মার্কেটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পাঠান ম্যাজিস্ট্রেটরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মার্কেটের অধিকাংশ দোকানে দেখা যায়- কোনো মূল্যতালিকা নেই। পণ্যের গায়েও কোনো মূল্য লেখা নেই। ভারত থেকে আমদানি করা শাড়ী, লেহেঙ্গা, থ্রি পিছসহ বাচ্চাদের কাপড়ের কাগজপত্রের মূল্যের সাথে দোকান মালিকরা কোড আকারে পণ্যের গায়ে ও রেজিস্টারে যে মূল্য লিখে রেখেছেন সেটি যৌক্তিক নয়। অধিকাংশ অধিকাংশ কাপড় ক্রয়মূল্যের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। মালিক সমিতির সভায় ফিক্সড দামে কাপড় বিক্রির সিদ্ধান্ত হলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছেন না।’
অনিয়ম ও অধিক দামে কাপড় বিক্রি করা দোকানগুলো হলো- সাদমান ফ্যাশন, মানসী, রজনীগন্ধা, ইয়ং লেডি, আকর্ষণ, আঁচল, কাঁকন, কংকন, পিন্ধন, জারা-১, জারা-২, বন্ধন, ডল ফ্যাশন, রূপসী, তুলি ও তিশা। কিছু পরে এসব অনিয়মের কারণে মিমি সুপার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তৌহিদুল ইসলাম।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।