অনলাইনে আইফোনের দাম দেওয়া দশ হাজার টাকা। বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহীরা ফোন দিতেন। কীভাবে এতো কম দামে মোবাইল জানতে চাইলে বলা হতো এটা ভ্যাট, ট্রাক্স বাদে ভারত থেকে আনা। তাই কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। একথা শুনে অনেকে সঙ্গে সঙ্গে ফোনের অর্ডার করতেন। আর অর্ধেক টাকা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতেন। বাকি অর্ধেক কাঙ্খিত মোবাইল হাতে পাওয়ার পর দিতে হতো। দুই তিনদিনের মধ্যে কুরিয়ার মোবাইল পৌছে যেত ক্রেতার ঠিকানায়। প্যাকেট খোলার পর তাতে মিলতো পেঁয়াজ, ভিম সাবান বা অন্য কোন পণ্য। পরে তাদের অনলাইনে যোগাযোগ করেও মিলত না প্রতিকার। অনলাইনে ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির নামে প্রতিদিন শতশত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল কিছু অসাধু মানুষ। বুধবার সন্ধ্যা ও বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা হলেন- সুজন মোল্লা, হাসিবুল হাসান চঞ্চল, জারদিস হোসেন, মেহেদী হাসান, নুর ইসলাম, পারভেজ মোল্লা ও আবু তাহের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির।তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন নামি-দামি ব্রান্ডের পণ্যের (শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস) ছবি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে সেগুলো এডিটিং করত। পরে চক্রের খোলা পেজে কমমূল্যে বিক্রির জন্য পোস্ট দিতো। অনলাইনে এসব পণ্য দেখে ক্রেতারা আকৃষ্ট হয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করত। ক্রেতারা এসব পণ্য অর্ডার করলে দেওয়া হতো চক বাজার বা গুলিস্থানের নিন্মমানের পণ্য। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে প্রতারক চক্র বলত প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে হয়ত নিন্মমানের পণ্য পেয়েছে। অথবা নিন্মমানের পণ্য পাঠানোর বিষয় অস্বীকার করত। এভাবে তারা ক্রেতাদের ঠকাতো।’ব্রান্ডসপ সেইল’র এর ফেইসবুক পেইজ থেকে তারা বিভিন্ন পণ্যের ছবি নিয়ে সেগুলো এডিট করে কমমূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছিল। পরে প্রতিষ্ঠানটি বিষয়টি র্যাবকে জানায়। এরপর অভিযান চালিয়ে এই চক্রের সাতসদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা মোবাইল, মেয়েদের গহনা, কাপড়সহ বিভিন্ পণ্য বিক্রির নামে ২০১৩ সাল থেকে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।