ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৯৯ জনকে বিতর্কিত দাবি করে নাম প্রকাশ করেছে পদবঞ্চিতরা। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফউদ্দিন বাবু। তিনি বলেন, তিনদিন আগে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে, যা অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে শতাধিক বিতর্কিত হওয়ার পরও ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাত্র ১৭ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বারবার একটি কথাই বলেন যে, ছাত্রলীগের কমিটি চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। চুলচেরা বিশ্লেষণের পরও যদি তারা ১৭ জনের নাম পায়, তাহলে আরেকটু বিশ্লেষণ করলে সেটা একশর বেশি হতে পারে। তাই বিতর্কিত ১৭ জন নয়, আরও বেশি হবে।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সকলকে খুঁজে বের করে সংগঠন থেকে বিতাড়ন করার আহ্বান জানান ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফউদ্দিন বাবু।ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও মাদকাসক্ত, এ তথ্যের সত্যতা কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, গোলাম রাব্বানী যে মাদকাসক্ত এমন অনেক ভিডিও ইউটিউবে আছে। আমাদের কাছেও সব তথ্য প্রমাণ আছে।
পদবঞ্চিতদের দাবি অনুযায়ী, সহ-সভাপতি পদে বিতর্কিতরা হলেন— তানজিল ভূইয়া তানভীর (বয়স উত্তীর্ণ ও ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়িত, সম্মেলনের সময় বয়স ২৯ বছর ৬ মাস ১৭ দিন), রেজাউল করিম সুমন (চাকরিজীবী ও মাদকাসক্ত), আরেফিন সিদ্দিক সুজন (মাদকব্যবসায়ী, সূর্যসেন হলে তার নিজ কক্ষ ৩১৫ রুম থেকে হল প্রভোস্টের উপস্থিতিতে মাদক উদ্ধার করা হয় এবং রুম সিলগালা করা হয়। তার পিতা মাদারীপুরের পাঁচখোলা ইউনিয়ন জামাতের আমির), আতিকুর রহমান খান (মাদকাসক্ত ও অস্ত্রব্যবসায়ী এবং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত, দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত), বরকত হোসেন হাওলাদার (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার), আবু সালমান প্রধান শাওন (মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়), শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ (মাদকাসক্ত ও মাদকের মামলা রয়েছে), ফুয়াদ রহমান খান (বয়স উত্তীর্ণ ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত), সাদিক খান (বিবাহিত, মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত), তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী (বিএনপি-জামাত ঘেঁষা পরিবারেরর সন্তান), এসএম তৌফিকুল হাসান সাগর (পিতা যুদ্ধাপরাধী), তৌহিদুর রহমান হিমেল (ঠিকাদার), মাহমুদুল হাসান (জামাত পরিবারের সন্তান), সৃজন ভূইয়া (চাকরিজীবী, অগ্রণী ব্যাংক), তৌহিদুর রহমান পরশ (জীবনের প্রথম পদ), কামাল খান (কোটা আন্দোলনকারী), আবু সাইদ (সাস্ট, ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার ও শিক্ষককে অপমান করায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত), খালিদ হাসান নয়ন (বয়স উত্তীর্ণ ও মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত ও ডাকাতি মামলার বর্তমান আসামি), আমিনুল ইসলাম বুলবুল (হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এবং ৬টি মামলার আসামি), রুহুল আমিন (সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বিবাহিত), সোহানী হাসান তিথি (একাধিকবার বিবাহিত), মাহমুদুল হাসান তুষার (শিবির কর্মী), এসএম হাসান আতিক (৩৯তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ও বিবাহিত), সুরঞ্জন ঘোষ (বয়স উত্তীর্ণ), জিয়ান আল রশিদ (ব্যবসায়ী, গ্লোব কোম্পানির পরিচালক), সোহেল রানা (বয়স উত্তীর্ণ ও প্রথম পদ), মুনমুন নাহার বৈশাখী (বিবাহিত ও জামাত পরিবারের সন্তান), তরিকুল ইসলাম (চার্জশিটভুক্ত ছয়টি মামলার আসামি ও নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রতারণা)।