ফের বেপরোয়া হয়ে উঠছে কালা বাহিনী। এ বাহিনীর অত্যাচারে বর্তমানে আতংকিত হয়ে পড়েছে মহিপুর বাসী। এ বাহিনী ফ্রি স্টাইলে চালিয়ে যাচ্ছে হামলা, চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্ম। অভিযোগ রয়েছে মহিপুরের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় তারা চালিয়ে যাচ্ছে এ সব অপকর্ম। তাদের এ অপকর্ম থেকে পরিত্রান পাচ্ছেনা সাংবাদিক, কুয়াকাটায় আগত পর্যটক, সমাজের সুধীজনসহ এলাকার সাধারন মানুষ। গত ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর কুয়াকাটায় পর্যটক হামলা ও নারী পর্যটকদের শ্লীলতাহানির মাধ্যমে প্রকাশ পায় এ বাহিনীর অপকর্ম। এ নৃশংস ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হলে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশ হয়। যেটা সারা দেশে তোলপার সৃষ্টি করেছিল। হামলার স্বীকার হওয়া পর্যটকদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই শ্রীঘরে ঢুকে জেল খেটেছেন। জেল খাটার পর অনেক দিন বন্ধ থাকে এ বাহিনীর কার্যক্রম। বর্তমানে বিভিন্ন অপকর্ম ঘটিয়ে শক্রিও হয়ে উঠছে এ বাহিনী। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মহিপুর বাজারের সরকারী খাস জমিতে এ বাহিনীর নামে তোলা হচ্ছে অনেক ঘর। আবার নির্মানাধীন অনেক স্থাপনা থেকে তোলা হচ্ছে চাঁদা।
এছাড়া অনেক ব্যবসায়ীর কাছে দাবি করা হচ্ছে মোটা অংকের চাঁদা। গত ১৪ই মে সোহরাব ব্যাপারীর ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী মো. নাসিরের ঘর তোলা নিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কাজ বন্ধ করে দেয় কালা বাহিনী। কালা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি স্থানীয় অনেক আওয়ামীলীগ নেতাও। মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন দুলালও রক্ষা পায়নি এদের হাত থেকে। দুলাল জানায়, এসআরওএসবি নির্বাচনের সময় তাকে অপমানসহ লাি ত করেছে এ কালা বাহিনীর সদস্যরা। বর্তমানে তারা সক্রিও হয়ে উঠছে। মহিপুর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী শাহজাহান খলিফা জানান, প্রায়শই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে আসছে এ কালা বাহিনী। মহিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক ক্রিড়া সম্পাদ মাইকেল জানান, এ বাহিনীর সদস্যের মধ্যে রয়েছে সোহাগ আকন্দ, ইদ্রিস মৃধা, কালা শহিদ মাতুব্বর, কালা ফজলু, চোরা আলমগীর, রফিক হাওলাদার, নুরুল হকসহ আরও অনেকে। এ বাহিনীতে নতুন নতুন যোগ হচ্ছে আরও আরও অনেক যুবকের নাম।
শেষ মেশ কালা বাহিনীর এসব কার্যক্রম নিয়ে নিউজ প্রকাশ করায় ও অপকর্মে বাধা দেয়ায় কয়েকবার লাি তসহ প্রান নাশের হুমকি স্বীকার হয়েছেন গাজী টেলিভিশনের কলাপাড়া-কুয়াকাটা প্রতিনিধি ও মহিপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মনিরুল ইসলাম। গত ১০ মে এ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মহিপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন তিনি। ডায়েরি নং-৩৩৮। মনির জানান, কলা বাহিনীর সদস্যরা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে আমাকে প্রান নাশের হুমকি দেয়। মহিপুর থানার ওসি তদন্ত মাহাবুবুর রহমান জানান, কালা বাহিনী নামে কোন বাহিনী আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি কালা বাহিনীর কারো নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইননাগু ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।