'রোজা রেখে' শিশুকে ধর্ষণ করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১৩ই মে ২০১৯ ০৫:৪২ অপরাহ্ন
'রোজা রেখে' শিশুকে ধর্ষণ করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক

বরিশাল জেলার উজিরপুরের বড়াকোঠা ইউনিয়নের অন্তর্গত খাটিয়ালপাড়া নুরানী মাদ্রাসার প্রথম জামাতের এক শিশু শিক্ষার্থীকে (৭) রোজা থাকা অবস্থাতে ধর্ষণের দায়ে ওই মাদ্রাসারই শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মুসাকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৩ মে) সকালে ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত ওই মাদ্রাসা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মাদার্শী গ্রামের মৃত এসকেন্দার সরদারের ছেলে। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের খাটিয়ালপাড়া নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম প্রায়ই মাদ্রাসার প্রথম জামাতের ওই শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হাত দিয়ে কুৎসিতভাবে যৌন হয়রানি করতেন।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষক জাহাঙ্গীর একইভাবে ওই শিক্ষার্থীকে একটি খালি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার মা-বাবার কাছে জানালে তাৎক্ষনিক ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিরাজ সিকদার বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে আনীত ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এগুলো সব মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শিশু যৌন হয়রানি একটি বড় সমস্যা আমাদের দেশের জন্য। পরিবারের বয়স্ক সদস্য, শিক্ষক, হুজুর এমনকি অপরিচিতদের দ্বারাও বহুভাবে শিশুরা শারীরিকভাবে হালকা বা গুরুতরভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়। অনেক সময় শিশুদের যৌনতা সম্বন্ধে ধারণা তৈরীর আগেই বয়স্ক কারো দ্বারা যৌন হয়রানির স্বীকার হলে তাকে বলা হয় পেডোফিলিয়া।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব