
প্রকাশ: ১১ মে ২০১৯, ২৩:৩২

এসব খেয়ে অসহায় মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা কঠিন ও জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রাতে যে ফল কাঁচা দেখা যায়, তা সকালেই টসটসা পাকা রসালো ফল হয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে হরহামেসা। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত কার্বাইড ব্যবহার ছাড়াও কৃত্রিম ভাবে পাঁকানো কলা ও বিভিন্ন ফল। দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে, এসব ফলই সর্বনাশ করে চলছে মানবদেহের। সরাইল বাজারে ট্রাকের প্রতিদিনের লেবার নাম জিজ্ঞাস করতে বলে ভাই সব বলব নাম বলবনা, আমি কাজ করে খাই, আমরা কি এত কিছু জানি কি খাইলে কি হইব, কলাতে খুনি কি দে, বড় ট্রাক বোজাই করা আসে সব কাঁচা কলা, ট্রাক থেকে কলা নামাই যখন, দেখি সব কাঁচা পরের দিন সকালে দোকানে দেখি সব কলা পাকাঁ, এমন কলা আগে দেখছিনা।
রমজান উপলক্ষে কলার ব্যাপক চাহিদা হওয়ায় সরাইল উপজেলাতে বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাঁকানো হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ‘কলা’। শনিবার বিকেল চারটায় কলা কিনতে বাজারে ঢুকে এমন সময় পরিচিত কলা ব্যবসায়ী দেখে বলতেছে ভাই কলা কিনবেন, বলাম জি ভাই কলা কিনব, দোকানের সামনে অনেক কলা সাজানো তার মধ্যে বিভিন্ন রঙের কলা রয়েছে।দাম জানতে বলে ভাই রোজার মাসে কলা অনেক চড়া, এ কলাটির দাম বলতে বলে এটা ভাল না, আপনারা চিনতেননা, এটা মধ্যে ঔষধ দেওয়া, এটা নেন এগুলা খুপের পাঁকা, এ গুলা হল রাতে কাঁচা সকালে পাঁকা, বলে একটি মিসকি হাসি দিয়ে বলে ভাই ফল ভাল পাওয়া বড়ই কঠিন, আমরার কথা কি বলবেন জাগাত থেকে ঔষধ মাইরাই আনে...
জানা যায়, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অতি লাভের আশায় মানুষের জীবন বিনষ্ঠ এ কাজে লিপ্ত হলেও এদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না আইনগত কোন কার্যকর ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীরা কম দামে কাঁচা কলা কিনে রাতারাতি কার্বাইড নামক বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করে আসছে। রাতে যে কলা সহ বিভিন্ন ফল কাঁচা, সকালেই তা ম্যাজিকের ন্যায় পাকা হয়ে বের হয়ে আসছে। আর এ কাজটি অহরহ চলছে। যা চলছে অনেকটা প্রকাশ্যেই বলেও জানা যায়। চিকিৎসকরা জানান, কার্বাইড দিয়ে ফল পাকালে ফলের ভেতর বিষ ঢুকে। যা খেলে মানুষের শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে পেট খারাপ, স্মৃতিভ্রম, মাথা ব্যাথা, খিচুনী ও বমি বমি ভাব সহ নানা কঠিন ও জটিল রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব