
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ২৩:১৫

‘আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মাহিবি আর তার মা আমাকে বাঁচতে দেয়নি। আমি বার বার মাহিবির কাছে কুত্তার মতো গেছি। অথচ সে আমাকে পায়ে ঠেলে তাড়িয়ে দিয়েছে। মাহিবির মা-বোন আমাকে যা-তা বলেছে। আমাদের রিলেশন এমন পর্যায় চলে গেছে যে আমি আর ফিরে আসতে পারলাম না। আব্বু-আম্মু আমাকে মাফ করে দিও। আমার লাশের আশপাশেও যেন মাহিবি আসতে না পারে।’ প্রেমিক মাহিবি ও তার মা-বোনকে দায়ী করে তিন পৃষ্ঠার এমন সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেন ইডেন কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সায়মা কালাম মেঘা (১৯)। গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার কাঁঠালবাগান এলাকার ৭৪/১ ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের চারতলা বাড়ির চারতলার একটি কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মেঘার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে মেঘার সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা যায়, তিন বছর ধরে ইডেন কলেজের ছাত্রী ঝালকাঠির সায়মা কালাম মেঘার সঙ্গে বরিশাল হাতেম আলী কলেজের ছাত্র ঝালকাঠির মাহিবি হাসানের প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে তারা পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও বাধা হয়ে দাঁড়ান মাহিবির মা সেলিনা বেগম। তিনি কোনোমতেই মাহিবি মেঘার সম্পর্ক মেনে নেননি। মায়ের বাধায় প্রেমিকা মেঘাকে বিয়ে করতে টালবাহানা শুরু করেন মাহিবি।

একাধিকবার বিয়ের দিন নির্ধারণ আবার পরিবর্তন করে নতুন কৌশল অবলম্বন করেন মাহিবি ও তার পরিবার। বিষয়টি নিয়ে প্রেমিক মাহিবির সঙ্গে একাধিকবার বাগবিতণ্ডা হয় মেঘার। রোববারও (২১ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রেমিকা মেঘা। ভিডিওতে প্রেমিকার করুণ মৃত্যু দেখেও মন গলেনি প্রেমিক মাহিবির। প্রেমিকার মৃত্যুর পর সহপাঠী আফরিন জাহান ও মেঘার মা রুবিনা আজাদকে ফোন দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি জানান মাহিবি।




ইনিউজ ৭১/এম.আর