‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ কথাকে চিন্তা করে পিতৃহারা পাঁচ বছরের এক শিশুকে বাঁচাতে চেষ্টা করছেন একদল তরুন। শিশু মোঃ মীর পলাশ ওরফে তামিমকে বাঁচাতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাঁদার মাধ্যেমে টাকা উত্তোলন করে তাঁর মায়ের হাতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার টাকা দিতে সক্ষম হয়েছে তরুনরা। এদিকে স্বামী হারা তামিমের মা রুবি বেগম মানসিক ভারসাম্যেহীন। তাকে দেখাশুনার মতো কেউ নেই। প্রতিদিনই তরুন দলের প্রতিনিধি মোঃ রিয়াজ হোসেন সোহাগ(সাংবাদিক) দেখভাল করছেন। গত ১৩ এপ্রিল এক মটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়ে মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তামিম। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পেরে মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তরুনদের সূত্রে জানা যায়, পায়রা নদী তীরবর্তী উপজেলার মেন্দিয়াবাদ গ্রামের মৃত মোঃ হযরত আলীর(৩২) পুত্র তামিম। একমাত্র পুত্র তামিমের দেড় বছর বয়সে সময়ে স্ত্রী রুবি বেগমকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পারি জামান স্বামী হযরত আলী। স্বামীর মৃত্যুর পরে পলাশের মা দুশ্চিন্তায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। রুবি বেগমের কষ্টের বোঝা শেষ না হতেই ১৩ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় তামিম তাঁর অসুস্থ মায়ের সাথে অটোগাড়িতে করে বাড়ি থেকে নানা বাড়ি রওনা হয়। পথিমধ্যে উপজেলার চরাখালী ও গোলখালী মধ্যেখানের মহাসড়কে এক মটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয় তামিম। স্থানীয় লোকজন তামিমকে আহত অবস্থায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন এবং তামিমের অবস্থা গুরুত্বর থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ শামিমুর রহমান তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার কথা বলেন। কিন্তু অসহায় মাতা রুবি বেগম তাঁর এক মাত্র ছেলের এ অবস্থা দেখে আরো ভেঙ্গে পড়েন এবং মাসনিক ভারসাম্যেহীন মাতা কিছুই বলতে পারেন না।
এদিকে সহায়-সম্বলহীন নাতির দুর্ঘটনার খবর শুনে নানা হাসপাতালে এসে উন্নত চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারবেনা বলে নিঃদাবী (বনসই) লিখিত দিয়ে সুবিদখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ অবস্থায় নাতির চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন নানা। গত ৭দিনেও তামিমের তেমন কোন উন্নতি হয়নি এবং তাকে দুই-একদিনের মধ্যেই তামিতে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হবে। টাকার অভাবে তামিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিতে পারছেনা। তবে কি টাকার অভাবে থেমে যাবে অসহায় পলাশের জীবন। তামিম কি আর সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবে না, দু’চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে কথাগুলো বলেন তামিমের নানা। তামিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা এক ব্যাক্তি জানান,ওইদিন বিকালে দুর্ঘটনার পরেই মটরসাইকেলটি আটকানো চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু মটরসাইকেল ড্রাইভারটি দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাওয়ার কারনে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
ডাক্তার বলেন, তামিম যে পরিমানে আহত হয়েছে তাতে তামিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল কিংবা ঢাকাতে নেয়া প্রয়োজন। সময়মতো চিকিৎসা না করালে ভবিষ্যাতে সমস্যা হতে পারে। তবে আমাদের সাধ্যে মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। তরুন দলের প্রতিনিধি ও সাংবাদিক মোঃ রিয়াজ হোসেন সোহাগ জোমাদ্দার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনে হাসপাতালে আসি। কিন্তু এখানে এসে এক মায়ের করুন আর্তনাথ দেখে হতভম্ব হয়ে যাই। তবে মানুষের জন্যই তো আমাদের সাংবাদিকতা,তাই আমিও তামিমকে বাচঁতে চেষ্টা করে যাচ্ছি আর আপনারাও এই অবুঝ শিশুকে বাচাঁতে সাহায্যের হাত বাড়িতে দিন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকার মতো সাহায্যে পাওয়া গেছে। উন্নত চিকিৎসার করাতে এবং তামিমকে বাচাঁতে অনেক টাকার প্রয়োজন। দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবান ব্যাক্তিদের কাছে তরুননা অসহায় শিশুটির জীবন বাঁচাতে সকলে সাহায্যের হাত বাড়ানো কামনা করেন। তামিমকে বাঁচাতে সাহায্য করতে চাইলে, তরুন দলের প্রতিনিধি ও সাংবাদিক মোঃ রিয়াজ হোসাইন সোহাগ জোমাদ্দার, মোবাইল নং-০১৭৬১৮৮০২১৩ এ নম্বরে যোগযোগ করুন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।