বরিশালের হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও ) জেবুন নাহার এর বদলি। এমন খবর শোনার পরে হিজলার সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দ ফিরে এসেছে। সাথে সাথে এমন খুশির পাশাপাশি একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে। হিজলায় যোগদানের কিছু দিন যেতে না যেতেই তার আসল রূপ বেড়িয়ে আসে। তিনি অফিসে আসতেন দুপুর ১২ টায়। এমন খবর সবাই জানতো। ঘুম ছিলো তার প্রিয়। একারণে ১লা জানুয়ারীর বই উৎসব থেকে শুরু করে অনেক অনুষ্ঠানে তাকে অনুপস্থিত দেখা গেছে। তার প্রতি হিজলার মানুষ বিরক্ত ছিলো। তার বদলি এই উপজেলার মানুষ আরো আগেই আশা করে ছিলো।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল তার বদলির আদেশ হওয়ার পরেও তিনি হিজলায় ছিলেন। এতে এলাকার মানুষ ছিলো বিব্রত। চলতি এইচ এস সি পরীক্ষার ইংরেজি ২য় পত্রের পরীক্ষা তার ঘুমের কারণে ২০ মিনিট পরে অনুষ্ঠিত হয়ে ছিল। ১লা বৈশাখ উপলক্ষে প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা উত্তোলন করেছে। যে চাঁদার টাকা তার অফিসের পিয়ন জাকির এবং খোকন আদায় করেছে। চাঁদা নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। পহেলা বৈশাখের রাতে বিএনপি নেতা ও অবৈধ বালির ড্রেজারের মালিক নিপু হাজারির বাড়িতে অতিথি ছিলেন তিনি। তার অনেক অপকর্ম নিয়ে বরিশালের স্থানীয় " প্রথম সকাল " পত্রিকায় ১৮ এপ্রিল একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সে কারণে ১৮ এপ্রিল তাকে হিজলা ত্যাগ করে, নাটোর সদরের দায়িত্ব পালনের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। মেহেন্দিগঞ্জের নির্বাহী অফিসার দিপক রায় হিজলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।