সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ হাবিবুল্লাহ মিঠূ, উপজেলা প্রতিনিধি নেছারবাদ- পিরোজপুর
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪০ অপরাহ্ন
সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে বিদ্যালয়

খরস্রোতা সন্ধ্যা নদীর করাল গ্রাসে ভাঙনে বিলীনের পথে স্বরূপকাঠি উপজেলার শান্তিহার কুনিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টির ৬২ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৫৬ শতাংশই বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। বর্তমানে ভাঙ্গন কবলিত নদীর পাড় থেকে এ বিদ্যালয় ভবনের দুরত্ব আছে আর মাত্র ১০/১৫ ফুট। বিদ্যালয়টির একমাত্র পাকা লেট্রিনটিও নদীতে তলিয়ে গেছে প্রায় দু‘বছর আগে।্ গত কয়েকদিনে নদীর পাড়ে (বিদ্যালয় ভবনের পার্শ্বে) বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময়  বিদ্যালয়ের একমাত্র এ ভবনটি নদীতে ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশংকা এলাকার লোকজনের। ঘটতে পারে প্রানহানীসহ মারাত্মক দুর্ঘটনা। জীবনের ঝুকি নিয়ে পড়ালেখা করছে শিক্ষার্থীরা। গত কয়েক বছরে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা দেখে এ বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেছে অনেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে মাত্র ২৪জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করলে নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছে ১৩-১৫ জন শিক্ষার্থী। আর পাঠদানে নিয়োজিত আছেন চার জন শিক্ষক। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মাসুম জানান  এ বিদ্যালয়টি ১৯৭৫সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে সরকার একটি পাকা ভবন নির্মান করে দেন। তিনি বলেন এক সময় বিদ্যালয়টিতে শতাধিক শিক্ষার্থী লেখা পড়া করলেও নদী ভা্গংনের কারনে স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশীরভাগ অন্যত্র চলে গেছেন। সে কারনে বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী আছে মাত্র ২৪ জন। ওই বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার প্রায় ৮২ভাগ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় শিক্ষার্তীর সংকট দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত বিদ্যালয়টির বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিলদার নাহার বলেন নদী ভাঙন এত কাছে এসে গেছে এ সম্পর্কে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অথবা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত তাকে কিছুই জানননি। ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলে জরুরী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের মুখোমুখী হওয়ার বিষয় কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন বিষয়টি তাকে এখন পর্যন্ত কেউ জানায়নি। তবে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর