ইউপি চেয়ারম্যান নিজ হাতে প্রকাশ্যে সালিশে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে পাঁচ যুবককে জুতা পেটা করায় লজ্জা ও অভিমানে এলাকা ছেড়েছে সেই যুবকেরা। এতে অভিভাবক সহ সেই যুবকদের স্বজনদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নতুনহাটি এলাকায়। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে একই ইউনিয়নের তারাখলা ও নতুনহাটি গ্রামের কয়েকজন যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা হয়। মঙ্গলবার এনিয়ে সালিশ হয় নতুনহাটি এলাকায়।
সরাইল উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের সভাপতিত্বে এই সালিশ সভায় চুন্টা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়া প্রকাশ্যে পাঁচ যুবককে জুতা পেটা করেন। স্থানীয়রা জানান, এতে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বাধা দিলেও ইউপি চেয়ারম্যান ওই যুবকদের অমানবিকভাবে জুতা পেটা করেন। এতে লজ্জা ও অভিমানে যুবকেরা এলাকা ছেড়েছে। এদিকে এ সালিশে জুতা পেটার ভিডিও দৃশ্য সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকে কড়া মন্তব্য করছেন।
সালিশে অভিযুক্ত যুবক আলাল মিয়ার মা নাজমা বেগম দাবি করেন, তার ছেলে কোন অন্যায় করেনি। ছেলেকে এক হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে ওরা বলেছিল কার পরিবর্তে যেন সে শুধু মাফ চাইবে। কিন্তু শাহজাহান চেয়ারম্যান অন্যায়ভাবে জুতা পেটা করেছে, এখন তার ছেলে লজ্জায় এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। অপর অভিযুক্ত যুবক ফেরদৌস মিয়ার পরিবারের অভিযোগ সালিশে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সবাইকে জুতা পেটা করেন। এখন সেই পাঁচ যুবক এলাকা ছেড়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।