নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সেই তরুণী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৬ই এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সেই তরুণী গ্রেফতার

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া নারী সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা। এই নারীর নাম কামরুন নাহার মনি। সে নুসরাতের সহপাঠী ও ওই মাদ্রাসার আলীম পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে মনিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে আটক করা হয়। ফেনী পিবিআই’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া সেই নারী সন্দেহে ওই ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’ এই মামলার অন্যতম প্রধান আসামি নূরউদ্দিন রবিবার রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলছিল, তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী উম্মে সুলতানা পপি গিয়ে নুসরাতকে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। ওই সময় ছাদে কামরুন নাহার মণি ছিল।

মনিমহ নুসরাত হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত সাতজন, বাকিরা সন্দেহভাজন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র ফেনী অফিসের পরিদর্শক শাহ আলম জানান, ১৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি সিরাজ উদ্দৌলাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে সাত দিনের রিমান্ড আদেশপ্রাপ্ত। ২ নম্বর আসামি নূরউদ্দিন (২০) ও তিন নম্বর আসামি শাহদাত হোসেন শামীম (২১) রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। চার নম্বর আসামি পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আলমকে (৪৫) সোমবার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি জাবেদ হোসেনকে (১৯) সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ছয় নম্বর আসামি মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের অধ্যাপক আফচার উদ্দিন (৩৫) ও সাত নম্বর আসামি আলাউদ্দিন (৩০)।

তিনি আরও জানান, এছাড়া কেফায়েত উল্লাহ (৩২), নুসরাতের সহপাঠী ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পা (১৮), মাদ্রাসাছাত্র নূরউদ্দিন (১৯), নূর হোসেন (২১), শহীদুল ইসলাম (১৯), জোবায়ের আহমেদ (২১) ও আরিফুর ইসলাম (১৯) পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ পেয়ে কারাগারে আছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব