ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ১২৬ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৮০০ শিক্ষক বৈশাখী ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যদিও সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত ছিল বৈশাখী উৎসবের আগেই শিক্ষকদের হাতে পৌঁছাতে হবে এ ভাতার টাকা। ফলে অধিকাংশ শিক্ষকের এবারের বৈশাখী উত্সব ঘরেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ভাতা না পেয়ে শিক্ষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভাতা বঞ্চিত শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও হিসাবরক্ষণ অফিসকেই পরস্পর দায়ী করেছেন।
জানা গেছে, গত ৩/৪ দিন আগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ১২৬ বিদ্যালয়ের প্রায় ৮০০ শিক্ষকের বৈশাখী ভাতা প্রদানের জন্য ফাইলপত্র রেডি করে, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠানো হয়। কিন্তু উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস ফাইলটি সঠিক সময়ে রেডি না করায় শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতা থেকে বঞ্চিত হন। অপরদিকে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সঠিক সময়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস বিল না পাঠানোর কারণে শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা প্রদান করা সম্ভব হয় নাই।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ ইনিউজ ৭১ কে জানান, যথাসময়ে ফাইলটি হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠিয়েছি। ভাতা না পাওয়ার কারণটা হিসাবরক্ষণ অফিসই জানে। উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল খোকন সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের গাফিলতির কারণে আমরা বৈশাখী ভাতা পাইনি। তাদের কারণে এবারের বৈশাখী উত্সবটা মাটি হয়ে গেল।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।